
তেলেঙ্গানা, ১৯ জুলাই: পোষ্যদের নিয়ে তার মালিকদের আগ্রহের শেষ থাকে না। কীভাবে রাখলে পোষ্য সুস্থ এবং আনন্দে থাকবেন তানিয়ে নিরন্তর শলাপরামর্শ চলচে। আর যদি সেই পোষ্যই কোনও লাভজনক কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তাহলে মালিককে আর পায়কে। ডেকে ডেকে সবাইকে খবরটা দেবেন। অন্যদিকে রাগী পড়শি তো পোষ্যর কীর্তি শুনে ততক্ষণে দাঁত কিড়মিড়িয়ে উঠেছেন। আর পোষ্যটি যদি মুরগী হয়, না চাইতেই একের পর এক ডিম দিয়ে যায় তাহলে তো কথাই নেই। এমনটাই ঘটেছে হায়দরাবাদের নগরকুরনুল জেলায়। সেখানার বাসিন্দা রামকৃষ্ণ চেরি, তাঁর পোষ্য মুরগীটি একটানা ১৫ দিন ডিম দিল। তবে ১৫টি নয় ১৫০টি ডিম। আরও পড়ুন-কী মজা ! এই গ্রামের বাসিন্দারা যখন তখন ঘুমিয়ে পড়েন
একটা, দুটো, তিনটে, চারটে নয়— একেবারে ১৫০টি ডিম পাড়ল এই মুরগী তাকে নিয়ে হৈ চৈ হচ্ছে স্বাভাবিকভাবেই। তার যদিও বিশেষ হেলদোল নেই, টানা পনেরো দিন ধরে সে ডিম পেড়ে চলেছে। এবার অবশ্য প্রথম নয়, এই মুরগীটি আগেও একবার ১৫ দিনে ৩০টি ডিম পেড়ে চমকে দিয়েছিল সকলকে। এমন লাভজনক পোষ্যকে দেখতে রামকৃষ্ণবাবুর বাড়িতে পড়শি, আত্মীয় পরিজন ও অচেনা লোকজনের ভিড় ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সবার একটাই দাবি কোথা থেকে এমন ডিম দেওয়া মুরী পেলেন তিনি। কোন প্রজাতির মুরগী কত টাকায় কিনেছেন। এত প্রশ্নে যারপরনাই বিব্রত রামকৃষ্ণ চেরি। তাঁর ভয় হচ্ছে কেউ না আবার সুয়োগ বুঝে প্রিয় পোষ্যকে গুম করে দেয়।
অনেকে রামকৃষ্ণবাবুর মুরগী ভাগ্য নিয়ে বেজায় হিংসে করছেন। কিন্তু রামকৃষ্ণবাবু নিজে কিছুই বলছেন না। বিশেষজ্ঞদের দাবি এতে সৌভাগ্যের কিছুই নেই। ওই মুরগী আসলে বেশ অসুস্থ। জিনগত কিছু সমস্যার জেরেই এমন দিনের পর দিন এত ডিম দিচ্ছে।