মহাত্মা গান্ধী (Photo Credits: Getty Images)

Facts Of Mahatma Gandhi Death Anniversary: আজ মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী (Mahatma Gandhi Death Anniversary)। আজ থেকে ৭২ বছর আগে নাথুরাম গডসের (Nathuram Godse) গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল গান্ধীজির। তাঁর মৃত্যু নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। দিল্লির বিড়লা হাউসে তাঁর ভক্তরা মহাত্মা গান্ধীকে 'বাপু' নামে সম্বোধন করতেন। যার অর্থ পিতা। জীবনের শেষ ৪৮ ঘণ্টায় এমন বেশকিছু অদ্ভুত নজির ছিল। ওই সময় তিনি কাছের ও প্রিয় মানুষদের ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন, তিনি হয়তো আর বেশিদিন বাঁচবেন না। এমনই কিছু টুকরো টুকরো ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায় নানা বই থেকে।

প্রমোদ কাপুরের একটি বইয়ে লেখা, ১৯৪৮ সালের ২৯ জানুয়ারি বিকেলে গান্ধীজির কাছে আসে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় গৃহহারা একদল বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। তারা অভিযোগ তোলে, তাদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য গান্ধীই দায়ী। তাঁকে লক্ষ্য করে তারা বলে,‘আপনি আমাদের শেষ করে দিয়েছেন। এখন আমাদের পরিত্রাণ দিন; আপনি তল্পিতল্পা নিয়ে হিমালয়ে চলে যান।’ সন্ধ্যায় তিনি তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী নাতনি মানুবিনকে বলেন, ‘ওই মানুষগুলোর করুণ কণ্ঠ ছিল ঈশ্বরের কণ্ঠের মতো। এটিকে তোমার ও আমার মৃত্যুর পরোয়ানা মনে করো।’

আরও পড়ুন, নেতাজী ভবন মেট্রো স্টেশন, স্টেডিয়াম থেকে বিমানবন্দর, শহরের প্রতিটা কোণায় জড়িয়ে রয়েছে সুভাষ চন্দ্র বসুর স্মৃতি

গান্ধীজি নাকি মৃত্যুর দিন সকালে বলেছিলেন,‘আমি যদি অসুখে মারা যাই...তোমরা বাড়ির ছাদে উঠে চিৎকার করে বলবে, আমি ভুয়া মহাত্মা ছিলাম। ...আর যদি কোনো বিস্ফোরণ ঘটে বা কেউ আমাকে গুলি করে এবং কোনো আক্ষেপ না থাকে, তাহলে তোমরা বলবে, আমি ছিলাম সত্যিকারের মহাত্মা।’

যেদিন গান্ধী অনশন শুরু করেছিলেন, গডসে এবং তাঁর সহযোগীরা, কিভাবে গান্ধীকে হত্যা করা যায় তার পরিকল্পনা করতে শুরু করেছিলেন।নাথুরাম বিনায়ক গডসে এবং নারায়ণ আপ্তে একটি বেরেট্টা এম ১৯৩৪ কিনেছিলেন। পিস্তল কেনার পাশাপাশি, গডসে এবং তার সহযোগীরা গান্ধীকে ছায়ার মত অনুসরণ করতে শুরু করেছিলেন। ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি নতুন দিল্লির একটি সুবৃহৎ প্রাসাদ বিড়লা হাউসের প্রাঙ্গনে (এখন গান্ধী স্মৃতি) হত্যা করেছিলেন গডসে।