Kojagiri Purnima 2025: দুর্গা পুজো (Durga Puja 2025) শেষ হতে না হতেই লক্ষ্মী পুজোর বাজনা বেজে গিয়েছে। আর ২ দিন পর কোজগিরি লক্ষ্মী পুজো। যেদিন স্বর্গ থেকে মর্তে দেবী লক্ষ্মী (Kojagiri Purnima 2025) নেমে আসেন বলে মনে করা হয়। কোজাগর অর্থাৎ রাতভর জেগে থাকা। কোজাগরি লক্ষ্মী (Goddess Lakshmi) পুজোর দিন ধনদেবী কখন কার বাড়িতে যাবেন, তা বোঝা যায় না। সেই কারণে রাতভর জেগে থাকেন মহিলারা। লক্ষ্মীর কৃপা পেতেই ওইদিন রাত জাগার কথা বলা হয়।
লক্ষ্মী পুজোর দিন ধনদেবীর কৃপা পেতে যদি ৭টি কাজ করতে পারেন, তাহলে ধনদেবীর কৃপা পাবেন।
দেখুন নিন ধনদেবীর কৃপা পেতে কী কী করবেন আপনি
দেবী লক্ষ্মীর কৃপা পেতে শরদ পূর্ণিমায় উপোস করুন। দিনভর উপোস করে দেবীর কৃপাধন্য হওয়ার চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে মেনে চলুন বিভিন্ন ধরনের নিয়ম। যাতে তুষ্ট হবেন দেবী লক্ষ্মী।
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, লক্ষ্মী পুজোর দিন মন্ত্র পড়ে নিষ্ঠা ভরে ধনদেবীর পুজো করুন। স্পষ্ট মন্ত্রোচ্চারণে লক্ষ্মী দেবী খুশি হন বলে মনে করা হয়।
দেবী লক্ষ্মীর কৃপা পেতে বিষ্ণুর পুজোও করুন ওইদিন। শরদ পূর্ণিমার রাতে যখন ঝকঝকে আকাশ থাকবে, সেই সময় মন্ত্রো উচ্চারণে তুষ্ট করুন লক্ষ্মীদেবীকে।
শরদ পূর্ণিমায় আকাশে থাকে পূর্ণ চন্দ্র। তাই ওইদিন পূর্ণ চন্দ্রের ছটায় লক্ষ্মী পুজো করুন ধনদেবীর আশীর্বাদ পেতে।
শরদ পূর্ণিমায় রুপোর পাত্রে করে যদি দুধ চড়ানো হয় চন্দ্রদেবকে, তাহলে লক্ষ্মীদেবী খুশি হন বলে কথিত আছে।
শরদ পূর্ণিমার অপর নাম কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা। তাই ওইদিন রাতভর জেগে থেকে লক্ষ্মীদেবীর পুজো করুন। তাতে ধনদেবীর আশীর্বাদ মেলে বলে মনে করা হয়।
কোজাগরী পূর্ণিমা বা শরদ পূর্ণিমায় সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে ফেলুন। তারপর ঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করুন আপনার বসবাসের জায়গা। শরদ পূর্ণিমায় গঙ্গাস্নান করলে তা অত্যন্ত ফলদায়ক বলে মনে করা হয় হিন্দু শাস্ত্রে। তাই লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে কাছে গঙ্গা থাকলে, গঙ্গাস্নান করা উচিত বলে মনে করা হয়।
মনে করা হয়, শরদ পূর্ণিমায় দুধ দিয়ে ক্ষীর বা পায়েস রান্না করে তা চাঁদের আলোর নীচে রাখতে হয়। তারপর রাতভর সেই পায়েস থাকার পরদিন তা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করলে, ধনদেবীর আশীর্বাদ মেলে।
রাতের রান্না পায়েস পরদিন প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করলে ধনদেবীর আশীর্বাদ মেলে বলে মনে করা হয়।