পুষ্টির অভাব, সংক্রমণ, অ্যালার্জি এবং মানসিক চাপ সহ অনেক কারণে হতে পারে চোখের সমস্যা। এই সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে বয়সের আগে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, শুষ্ক চোখ এবং চোখে জ্বালাপোড়া। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ও পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে সার্বিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি চোখেরও যত্ন নেওয়া সম্ভব। তবে চোখের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যোগাসন একটি স্থায়ী চিকিৎসা। নিয়মিত যোগাসনের অভ্যাস করলে কমে যায় শুষ্ক চোখের সমস্যা এবং উন্নত হয় দৃষ্টিশক্তি। বর্তমান যুগে তরুণ-তরুণী এমনকি শিশুরাও পরা শুরু করেছে নম্বরযুক্ত চশমা।
খারাপ ডায়েট এবং স্ক্রিন টাইম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চোখের সরাসরি ক্ষতি হয়। এছাড়া থাইরয়েড ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের কারণেও কমতে শুরু করে দৃষ্টিশক্তি। অনুলোম-বিলোম, শিরশাসন, সর্বাঙ্গাসন - এই তিনটি যোগাসন চোখের জন্য খুবই উপকারী। বয়সের আগেই ঝাপসা দেখতে শুরু করলে, কাছের বা দূরের দৃষ্টি দুর্বল হয়ে পড়লে এই যোগাসন অনুসরণ করা উচিত। শিরশাসন চোখের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং চাক্ষুষ স্নায়ুর উপর চাপ কমায়। এই আসনটি অভ্যাস করলে অক্সিজেন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ রক্ত মাথায় পৌছায় এবং তারপর চোখে।
অনুলোম-বিলোম প্রাণায়াম রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং চোখে অক্সিজেন সরবরাহ করে। সর্বাঙ্গাসন চোখের পেশী শিথিল করে এবং চাপ কমায়। এই আসনটি অভ্যাস করলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়। মোবাইল বা কম্পিউটারের পর্দার অতিরিক্ত ব্যবহার করার কারণে চোখের তরল শুকিয়ে যায়, যার ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়। চোখ শুষ্ক হওয়ার কারণে চোখে চুলকানি, ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। মেনোপজ বা গর্ভাবস্থায় শুষ্ক চোখের সমস্যা বাড়তে পারে। চোখের এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে প্রাণায়াম করা জরুরি।