অপারেশন ও সার্জারিতে অ্যানাস্থেসিয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অ্যানাস্থেসিয়া ছাড়া কোনও অস্ত্রোপচার সম্ভব নয়। গত কয়েক বছরে অ্যানাস্থেসিয়ার অনেক পরিবর্তন হয়েছে, আগের থেকে অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে এখন। আগে অ্যানাস্থেসিয়ার এক দিন পর জ্ঞান ফিরত রোগীর, তবে চিকিৎসা পদ্ধতি পরিবর্তনের কারণে এখন কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসে রোগীর। অ্যানাস্থেসিয়া একজন চিকিৎসকের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যার কারণে প্রতি বছর পালন করা হয় বিশ্ব অ্যানাস্থেসিয়া দিবস।
প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব অ্যানাস্থেসিয়া দিবস। অস্ত্রোপচারে অ্যানাস্থেসিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং কৃতিত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হয় এই দিনে। প্রতি বছর অ্যানাস্থেসিয়া সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারা বিশ্বে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এই দিনে। ১৬ অক্টোবরের দিনটি ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছিল যখন প্রথমবার ইথার অ্যানাস্থেসিয়া আবিষ্কার করেছিলেন উইলিয়াম টমাস গ্রিন মর্টার। ১৮৪৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে সফলভাবে ইথার অ্যানাস্থেসিয়া প্রদর্শন করেন তিনি।
অ্যানাস্থেসিয়ার ব্যবহার করলে অস্ত্রোপচারের সময় ব্যথা অনুভব হয় না রোগীর। অ্যানাস্থেসিয়া ওষুধ মস্তিষ্কের মধ্য দিয়ে যাওয়া স্নায়ু থেকে সংকেতকে অসাড় করার কাজ করে। অ্যানাস্থেসিয়া ওষুধ সেবনের পর শরীরে কোনও প্রকার কষ্ট অনুভব হয় না রোগীর। ওষুধের প্রভাব কমতে শুরু করলে ধীরে ধীরে রোগীর চেতনা ফিরে আসে। অনেক ধরনের অ্যানাস্থেসিয়া পাওয়া যায়।রোগীকে মাস্ক, ইনজেকশন বা টিউবের মাধ্যমে দেওয়া হয় অ্যানাস্থেসিয়া।