সাঁতার অন্যতম সেরা ব্যায়াম, এটি অনেক রোগের জন্য উপকারী। সাঁতার হাঁটু ব্যথা এবং স্থূলতার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট সাঁতার কাটলে সুস্থ থাকে শরীর। তবে সাঁতার কাটার সময় কিছু জিনিষ মেনে চলা উচিত, তা না হলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতিও হতে পারে। সুগার লেভেল কম থাকলে সাঁতার কাটা এড়িয়ে চলা উচিত। সুগার লেভেল কম থাকা ব্যক্তি সাঁতারের সময় অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে, যা বিপজ্জনক হতে পারে।

সর্দি, কাশি এবং অ্যালার্জির মতো ছোঁয়াচে রোগ থাকলে সাঁতার কাটা উচিত নয়। এমন অবস্থায় সুইমিং পুলে গেলে জলের মাধ্যমে সেই রোগ অনেকের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার করা হয়ে থাকলে তার পরপরই সাঁতার কাটা উচিত নয়। শরীরের কোথাও ক্ষত থাকলেও সাঁতার কাটা এড়িয়ে চলা উচিত। জলের সংস্পর্শে এসে ক্ষত গুরুতর হয়ে যেতে পারে। শুধু সাঁতার নয়, যেকোনও ব্যায়াম করার আগে সব দিক বিচার করে করা উচিত।

সাঁতার কাটার অভিজ্ঞতা না থাকলে একা জলে নামা উচিত নয়। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর এটিকে দৈনন্দিন জীবনের অংশ করা যেতে পারে। সাঁতার কাটা যেমন শরীরের জন্য উপকারী, তেমনই এর অপকারিতাও রয়েছে। সাঁতার কাটার ফলে ডায়রিয়া, ত্বকের সঙ্গে কানের এবং চোখের সংক্রমণও হতে পারে। এগুলি শরীরের সেই অংশগুলি যা পরিবেশের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শে আসে এবং জলে বাস করা জীবের কারণে এই রোগগুলো হয়। সুইমিং পুলের সংক্রমণের কারণ যে জীব সেগুলো হল ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম, লেজিওনেলা, সিউডোমোনাস, নোরোভাইরাস, শিগেলা, ই. কোলাই এবং গিয়ার্ডিয়া।