মুখ, ঘাড় ও গলার কালো দাগ নিয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। এই দাগগুলো শুধু আপনার বাইরের সৌন্দর্য নষ্ট করে না , বরং মনেও তৈরি হয় বিষন্নতা। তবে চিন্তার কিছু নেই।  কিছু সহজ উপায়ে এই দাগ দূর করা যায়। এখানে  কিছু সহজ, প্রাকৃতিক টিপস দেখে নিন।

লেবু ও মধু: লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং মধুর এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী আপনার ত্বকের ঘনত্ব বাড়ায় ও দাগের রং হালকা করতে সাহায্য করে। একটি ছোট পাত্রে সমপরিমাণ লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে, পরিষ্কার মুখে ও গলায় হালকা ম্যাসাজ করুন। তবে, লেবু সরাসরি ত্বকে না লাগিয়ে আগে একটু জল দিয়ে মিশিয়ে নিলে ভালো হয়।

অ্যালোভেড়ার যাদু: প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল ত্বকের ক্ষত সারাতে এবং দাগ কমাতে দারুন কাজ দেয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে তাজা অ্যালোভেরা পাতা ছেঁটে নেওয়া জেল আপনার মুখ ও গলায় ম্যাসাজ করুন। এতে করে শুধুমাত্র দাগ হালকা হবে তা নয়, ত্বকে যে শীতলতা ও আরাম পাবেন তার অন্য আলাদা অনুভূতি হবে।

হলুদ ও দুধের মাস্ক: হলুদ ও দুধের মিশ্রন ত্বকের রং সমতা আর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। সামান্য হলুদ গুঁড়ো এক চিমটি নিন এবং তাতে গরম দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি  লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্রাকৃতিক মাস্ক নিয়মিত ব্যবহারে দাগের রং হালকা হতে শুরু করবে।

শসার রস: প্রতিদিন শসার রস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে এবং তারপরে হালকা ম্যাসাজ দিলে ত্বক  উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

আলু:  আলুর মধ্যে থাকা স্টার্চ এবং ভিটামিন সি দাগ হালকা করতে এবং ত্বকের টোন সমান করতে সাহায্য করে। এক টুকরো কাঁচা আলু কুচিকুচি করে সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল।

ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে নিয়মিত নিয়মিত পরিষ্কার করা, পর্যাপ্ত জল পান এবং সানস্ক্রিন ব্যবহার করাও অত্যন্ত জরুরি। এসব অভ্যাস শুধু দাগ হালকা করবে না, বরং ত্বককে রক্ষা ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন, কোন প্রাকৃতিক উপায়ই রাতারাতি ফল দেয় না। ধৈর্য এবং নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে একদিন আপনি পরিবর্তন অনুভব করবেন।