
ভাত কিংবা রুটি। কাঁচা পেঁয়াজ সঙ্গে থাকলে মুখের স্বাদ বদলে যায়। যেকোন খাবারেও কাঁচা পিঁয়াজ কুচিয়ে দিলে দারুন লাগে। মুড়ি কিংবা পান্তা ভাত তো কাঁচা পেঁয়াজ ছাড়া ভাবাই যায় না। শশা গারেরের সঙ্গে পিঁয়াজ দিয়ে স্যালাড বানানো হয়। তবে এই কাঁচা পেয়াজে রয়েছে অনেক উপকারিতা।
পেঁয়াজ রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল। এছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, সালফার, ফাইবার। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। গরমে ভাতের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পেঁয়াজে আছে ভিটামিন সি। শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। ফলে যেকোন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। পেঁয়াজ বদহজম দূর করে। হজমকারী এনজাইম সক্রিয় করে গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা প্রতিরোধ করে। পেঁয়াজ রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে।
পেঁয়াজের রস ত্বকের জন্য দারুন উপকারি। ত্বক পরিষ্কার করতে পেঁয়াজ দারুন কাজথ দেয়।যাদের ব্রণের সমস্যা তারা উপকার পাবেন। ত্বকের অন্যান্য সমস্যা থেকে রক্ষা করে পেঁয়াজ। চুল এবং নখের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে পেঁয়াজের রস কাজ দেয়। ছোট পেঁয়াজের রস চুলে মাখলে চুল পড়া বন্ধ হয়।
পেঁয়াজকলিতে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ পুরুষ হরমোন নিঃসরণ বাড়ায়। প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে পেঁয়াজ। পেঁয়াজে থাকা উপাদান ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা উপকৃত হবে।
তবে অতিরিক্ত পেঁয়াজ খেলে সমস্যা হতে পারে। তাই শরীর বুঝে পরিমান ঠিক করুন কতটা খাবেন।