কিসমিসের এত গুনাগুন যে তাকে অমৃত বলা হয়।  প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আমরা অনেক সময় নানা ধরনের ড্রাই ফ্রুট রাখি। এটি মূলত শুকনো আঙুর, কিন্তু এর পুষ্টিগুণ এতটাই অসংখ্য রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিসমিসের থেকেও কিসমিস ভিজানো জল প্রতিদিন খেলে দারুন উপকার পাওয়া যাবে ।

পুষ্টিগুণে ভরপুর । কিসমিসে থাকে প্রাকৃতিক চিনি, ফাইবার, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি রক্তস্বল্পতার জন্য দারুণ কার্যকর কারণ এতে থাকে অত্যধিক মাত্রায় আয়রন। কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষগুলিকে রক্ষা করে। বয়স বাড়াকে রোধ করে। ত্বক হয়ে ওঠে ঝকঝকে।

ত্বক ও চুলের জন্য দারুন উপকারী কিসমিস।কিসমিসে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ে তারা উপকার পাবেন কিসমিস খেলে। এটি চুল পড়া কমায় ও চুলের গোড়া মজবুত করে। শুধু তাই নয়। যারা গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য বা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কিসমিস হতে পারে প্রাকৃতিক ওষুধের মতো। এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়‌। ক্যালসিয়াম ও বোরনের মতো খনিজ উপাদান থাকার কারণে কিসমিস হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত রাখে। বয়স্কদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।

অনেকে পায়েস বা বেশ কিছু খাবারের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খান। তবে উপযুক্ত পুষ্টিগুণ পেতে গেলে নিয়ম মেনে কিসমিস খেতে হবে। সেরা ফল পেতে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়া উচিত। অনেকে সকালে কিছুক্ষণ ভিজিয়েই সেই কিসমিস খেয়ে নেন। তবে সবচেয়ে উপযুক্ত হলো রাতে কিসমিস জলে ভিজিয়ে রাখুন।‌ পরদিন সকালে খালি পেটে তা খেয়ে নিন । তবে দশটির বেশি নয়। কিসমিস ভেজানো জল ভীষণ উপকারী। কিসমিস গুলো তুলে নিয়ে জল হালকা গরম করে খেয়ে নিন। এতে হজমের সমস্যা, ওজন নিয়ন্ত্রণ, এবং ত্বকের গ্লো বাড়ে। পরিমাণ বজায় রেখে খান। কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে।

কিসমিসের গুনাগুন প্রচুর। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখুন কিসমিস। নিয়ম মেনে খেলে এটি শরীরের নানা উপকারে আসতে পারে।