
পুষ্টিতে ভরপুর কুমড়ো। বাজার থেকে কিনে আনা মিষ্টি কুমড়া থেকে পাওয়া অনেক উপকার। ছোট চিংড়ি দিয়ে কুমড়ার তরকারি কিংবা কুমড়া ভর্তা, অথবা লুচি,ডালপুরীর সাথে কুমড়ো তরকারি। কুমড়ো ভাজা খেলে দারুন ভালো লাগে। যেভাবেই খাওয়া হোক, কমলা রংয়ের এই সবজিতে থাকা নানান উপাদান নানানভাবে দেহে উপকার করে।একটি সাধারণ মাপের কুমড়া থেকে পাওয়া যায় ৮৩ ক্যালরি, ০.৭ গ্রাম চর্বি, ২.৭ গ্রাম প্রোটিন, ১৯.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেইটস, ৭ গ্রাম আঁশ, ৮ গ্রাম চিনি। কুমড়োর বীজেও পুষ্টি রয়েছে এই বীজ শরীরের উপকারে লাগে।
পুষ্টিকর মিষ্টি কুমড়ো ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। প্রতিদিন কুমড়ো সিদ্ধ করে কুমড়ো ভাতে খেলে ভীষণ উপকার পাওয়া যায়। কয়েকদিন পরেই বুঝতে পারবেন তক হয়ে উঠছে ঝকঝকে। কুমড়োয় রয়েছে নানান রকম ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দৈনিক আঁশের চাহিদা মেটাতে পারে কুমড়ো। এক কাপ রান্না করা কুমড়ো থেকে পাওয়া যায় ২ গ্রাম আঁশ। ফলে পাকস্থলীর উপকার হয়। দেহ থেকে কোলেস্টেরল বের করে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য নিয়ে আসে। নিয়মিত কুমড়া খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। অমল গ্যাস এসিডিটি প্রবণতা থাকলে আস্তে আস্তে নির্মূল হবে।
এক কাপ কুমড়োয় থাকে ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন সি, প্রায় ১,৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন এ এবং ২.৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ই। অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের কালো দাগ ছোপ এবং রোদে পোড়ার দাগ আস্তে আস্তে নির্মূল হয়ে যায়। নিয়মিত কুমড়া খেলে। কুমড়োয় আছে বেটা-ক্যারোটিন। চোখের জন্য উপকারী। কুমড়ো। লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন পাওয়া যায় কুমড়ো থেকে। এই দুই উপাদান বয়স জনিত কারণে দৃষ্টি শক্তি ঝাপসা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন এ এবং সি উচ্চ মাত্রায় থাকার কারণে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমাতে সাহায্য করে কুমড়ো।
এক কাপ কুমড়ো থেকে প্রায় ৫০০ মাইক্রোগ্রাম পটাসিয়াম পাওয়া যায়। আর সাধারণভাবে দেহে পটাসিয়ামের দৈনিক চাহিদা হল ৪,৭০০ মাইক্রোগ্রামস। স্বাস্থ্যকর রক্তচাপ, স্বাভাবিক হার্টবিট ও পেশির কার্য ক্ষমতা ঠিক রাখতে পটাসিয়াম প্রয়োজন। কিডনিতে পাথর হওয়া ও হাড় ভঙ্গুর রোগের সম্ভাবনা কমে পর্যাপ্ত পটাশিয়ামের জন্য। রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে কারণ কুমড়োতে রয়েছে পটাশিয়াম। হৃদরোগের ঝুঁকি। কুমড়োর বীজও উপকারী।