লুচি কিংবা পরোটা। কুমড়োর তরকারি হলে দারুন ব্যাপার। আবার কুমড়োর তরকারি দিয়ে মুড়ি। টিফিনের জন্য অসাধারণ খাবার। এছাড়া কুমড়ো ভাতে তো অনেকেই খান। প্রায় সব বাড়িতেই রান্না হয়। এই গরমে কুমড়ো খাওয়া খুব ভালো। কুমড়ো এবং এর বীজ দুটোই উপকার। রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, প্রোটিন এবং ফাইবার। কুমড়ার খোসায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শরীরে ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে। এছাড়া আরো অনেক উপকার করে কুমড়ো। দেখুন কুমড়োর উপকারিতা।
কুড়োয় থাকা উপাদানগুলি, বিশেষত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কুমড়োতে বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ রয়েছে। ফলে চোখের সমস্যা দূর করে। দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। কুমড়োয় আছে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কুমড়ো খুব উপকারি।
কুমড়ো খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কুমড়োতে ফাইবার রয়েছে। ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তার ধীরে ধীরে নির্মূল হয়। ত্বককে সুস্থ রাখতে কুমড়ো ভীষন উপকারি। কুমড়োতে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
কুমড়ো ওজন কমাতে কাজ দেয়। তবে সেক্ষেত্রে কুমড়ো রান্নাতে চিনি দেওয়া যাবে না। ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকে কুমড়োয়। ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
কুমড়োয় আছে ম্যাগনেসিয়াম। যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কুমড়ো ঘুমের সমস্যা দূর করে। স্নায়ু এবং পেশীর কার্যকারিতা উন্নত করে। তাই নিয়মিত কুমড়ো খান।