৭ নভেম্বর পালন করা হয় শিশু সুরক্ষা দিবস। এই দিনটি পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য হল জন্ম থেকে ১ বছর পর্যন্ত শিশুদের যত্ন নেওয়া, শিশুর নিরাপত্তা ও সঠিক পরিচর্যা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা। ১ বছরের কম বয়সী শিশু থাকলে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত। শিশুদের স্পর্শ করার আগে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। শিশুদের পোশাক সম্পর্কেও সতর্ক থাকা জরুরি। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে শিশুর সমস্ত জিনিস ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। বাড়িতে কারোর জ্বর, কাশি, সর্দি বা কোনও ধরনের অসুখ হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত শিশুর থেকে দূরে থাকা উচিত। এছাড়া মা অসুস্থ হলে খাওয়ানো বা কাপড় পরিবর্তনের জন্য ল্যাটেক্স গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত।

শুধুমাত্র সিল করা ডায়পার প্যাকেট কেনা উচিত। শিশুদের জন্য ব্যবহৃত ওয়াইপ, পাউডার এবং প্যান্ট সবসময় এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে প্রয়োজনের সময় সহজেই পাওয়া যায়। বাড়ি জীবাণুমুক্ত রাখা খুবই জরুরি। বাড়ির সমস্ত কোণ, প্লাস্টিক, ধাতু, কাচের হাতল এবং মেঝে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করতে হবে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল তরল ক্লিনার দিয়ে শিশুর বিছানা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করতে হবে। শিশুর কিছু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। অভিভাবকদের কখনই শিশুদের একা ঘুমানো উচিত নয়। ঘুমানোর সময় চারদিক থেকে ঢেকে রাখা উচিত, যাতে পড়ে যাওয়ার ভয় না থাকে।

শিশুদের বিছানা নরম এবং সমতল রাখা উচিত। শিশু খুব কান্নাকাটি করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। শিশুদের খুব বেশি জামাকাপড় পরানো উচিত নয়। শিশুদের কেমিক্যাল মুক্ত তেল বা ক্রিম দিয়ে ম্যাসাজ করা উচিত। চিকিৎসকদের মতে, নবজাতক শিশুর জন্য সুরক্ষা ঢাল হিসেবে কাজ করে মায়ের দুধ। জন্মের ১ ঘন্টা পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত। মায়ের দুধে সঠিক পরিমাণে ফ্যাট, চিনি, জল এবং প্রোটিন থাকে, এতে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এই দুধ খাওয়ালে শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।