
চুল পড়া বা টাক অনেকেরই বংশগত সমস্যা। কিন্তু তার বাইরেও অনেকেরই অকালে চুল ঝরে যায় এবং চুল পড়ে যায়। অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, সঠিক পরিচর্যা না করা এবং নিয়ম না মানা। এই কারণেই চুল পড়ে। যায় ফলে দেখা দেয় টাক। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে টাকে চুল গজায়। প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করলে উপকার পেতে পারেন। বন্ধ হবে চুল পড়া।
চুল পড়া বন্ধ করতে এবং পেঁয়াজের রস। কারণ পেঁয়াজের রসে থাকে সালফার। সালফার মূলত চুলের বৃদ্ধিতে ভীষণ কার্যকরী। মাথার যে অংশে চুল উঠে গেছে এবং টাক পড়েছে সেখানে লাগাতে হবে পেঁয়াজের রস। এই ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়মিত মেনে চললে ওই অংশে চুল গজাবে। পেঁয়াজের রস ৩০ মিনিট লাগিয়ে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে।।
চুলের জন্য আরেকটি কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান এলোভেরা ।
এলোভেরা মূলত চুল গজাতে সাহায্য করে । পাশাপাশি মাথাকে রাখে ঠান্ডা। অ্যালোভেরা পাতা থেকে কেটে যে জেলির মতন সাদা অংশ বের হয় তা মাথায় লাগান মূলত যে অংশে টাক পড়েছে সেখানে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও আমাদের পুরনো দিনে ঠাকুমাদের দেখেছি নারকেল তেল ব্যবহার করতে। কিন্তু এখন অনেকেই তা ব্যবহার করেন না। খাঁটি নারকেল তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং টাকেও চুল গজাবে। তবে এর জন্য কারি পাতা মেশাতে হবে নারকেল তেলের সঙ্গে। প্রথমে কারি পাতা তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর ওই তেল ঠান্ডা হলে হালকা হাতে মেসেজ করতে হবে মাথায়। সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। এবার ওই সারারাত ভিজানো মেথি পেস্ট করে নিন। এই পেস্ট লাগান। মাথায় চুলের গোড়া শক্ত করবে। এবং তাকে চুল গজাবে। এছাড়াও সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ক্যাস্টর অয়েল মাথায় লাগাতে পারেন। চুল পড়া বন্ধ করবে।। চুলের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান গ্রিন টি। চুলে শ্যাম্পু করার পর গ্রিন টি জল ঠান্ডা করে মাথায় দিন। গ্রিন টিতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এবং চুলের পুষ্টি যোগাবে। রোজমেরি এসেন্সিয়াল এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চুলের জন্য। চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে। চুল পড়া বন্ধ করতে এবং চুলের গোড়া শক্তি শালী করতে ভীষণ কার্যকরী।
তবে সমস্ত উপাদানই প্রাকৃতিক। চুলের কোনো রকম ক্ষতি করে না । তবুও বিশেষক্ষেত্রে কারো অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকতে পারে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপাদানগুলি ব্যবহার করবেন।