
বাঙালির পাতে ঘি ছাড়া চলে না। গরম ভাতের সাথে একটুখানি ঘি, মুখের স্বাদ বদলে দেয়। বিশেষত পোস্ত ডাল ভাত আর ঘি হলে তো আর কথাই নেই। পুষ্টিতে ভরপুর ঘি। শরীর দুর্বল হলে বিশেষত শিশুদের পাতে ঘি দেওয়ার পরামর্শদান চিকিৎসকরা। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ঘি পাওয়া যায়। এছাড়া বেশ কিছু জায়গায় ঘরোয়া ভাবে বানানো ঘি বিক্রি হয়। আবার অনেকে বাড়িতে ঘি তৈরি করে নেন। তবে বাজার থেকে কেনা ঘি আসল নাকি ভেজাল মেশানো রয়েছে তা বোঝা দুষ্কর হয়ে ওঠে। তবে একটু বুদ্ধি খাটালেই আসল, নকল অর্থাৎ ভেজাল মেশানো আছে কিনা বুঝতে পারবেন। সেই পদ্ধতি।
একটা গ্লাসে হালকা গরম জল নিন। এবার এক চামচ ঘি তাতে মিশিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে থাকুন। গিয়ে যদি ভেজাল না থাকে এবং আসল হয় তাহলে জল থেকে কি আলাদা হয়ে যাবে এবং জলের ওপরে ভাসতে থাকবে। আর যদি ভেজাল থাকে তাহলে কোনোভাবেই বলতে চাইবে না ওই ঘি। কোন ভেজাল না মেশালে বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘি তৈরি করলে সেই ঘি এর রং হালকা হলুদ ভাব থাকবে। কিন্তু ভেজাল গিয়ে ওই হলুদ ভাব আসবে না। রং হবে সাদা ভাব। যদিও বর্তমানে ভেজাল ঘিও রং মিশিয়ে কালার আনার প্রচেষ্টা থাকে । তবুও এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করতে পারেন। এছাড়া ভেজাল গিয়ে ফ্লেভার মিশিয়ে গন্ধ আনা হয় যদি গন্ধ উগ্র হয় তাহলে সহজেই বুঝে যাবেন সেই ঘি ভেজাল । আর আসল ঘি এর প্রকৃত মিষ্টি গন্ধ বের হবে এবং তা একটু যাচাই করলেই বুঝতে পারবেন।
এইভাবে পরীক্ষা করে আসল এবং নকল ঘি চিনে নিন বাজার থেকে জিনিস কেনার আগে যাচাই করে নিন।।