Foot Pain Remedies: বর্তমানে যেভাবে জীবন দৌঁড়চ্ছে, তাতে শরীরের নানা সমস্যার সঙ্গে পায়ের পাতা ফোলাও দেখা যাচ্ছে ভীষণভাবে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে বা বসে থাকলে কিংবা পা ঝুলিয়ে রাখলে, অনেকেরই পায়ের পাতা ফুলে যাচ্ছে। হঠাৎ করে যা দেখে ভয় পেয়ে চিকিৎসকের কাছে ছুটে যাচ্ছেন বহু মানুষ। একবার, দুবার যদি হঠাৎ করে পা ফুলে যায়, তাহলে তার চিকিৎসা আপনি বাড়িতেই করে ফেলতে পারেন। তবে যদি বার বার আপনার পায়ের পাতা ফুলে যেতে শুরু করে, তাহলে তার জন্য আপনাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
পিত্ত বা সর্দি, কাশির সমস্যা দেখা দিলে, অনেক সময় পায়ের পাতা ফুলে যায়। আয়ুর্বেদে এই অবস্থাকে 'শোত' বলা হয়। রক্ত সঞ্চালনে বাধা পড়লে, অনেক সময় অনেকের পায়ের পাতা ফুলে যেতে দেখা যায়।
কোনও সময় যদি হঠাৎ করে পায়ের পাতা ফুলে যায়, তাহলে কী কী করতে হবে দেখুন...
শরীরে যদি কোনওভাবে বিষাক্ত পদার্শ জমা হয়, তাহলে ফুলে যেতে পারে পায়ের পাতা হঠাৎ করে। রক্ত সঞ্চালনে বাধা পড়লে, পায়ের পাতা ফুলে যায়। এক্ষেত্রে হালকা গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন। হালকা গরম জলের সঙ্গে নুন মিশিয়ে, তাতে যদি পা চুবিয়ে রাখতে পারেন, তাহলে উপকার পাবেন।
পায়ের পাতার কিছু ব্যায়াম করুন। পায়ের পাতা ঘুরিয়ে এদিক, ওদিক করে, স্ট্রেচ করুন। এতেও পায়ের পাতার ফোলাভাবে কমে যায়।
হালকা গরম জলে, অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে, তাতে পা ডুবিয়ে রাখুন। জলের সঙ্গে অ্যাপল সিডার ভিনিগার সংযুক্ত করে, তা দিয়ে পায়ের পাতা ম্যাসাজ করলেও উপকার পাবেন।
পায়ের পাতা ফুলে গেলে, সেখানে আদার রস লাগিয়ে রাখতে পারেন। আদা থেকেও উপকার পাবেন।
গরম দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে ঘুমোতে যান প্রতিদিন রাতে। এতে আপনি পায়ের পাতা ফোলা থেকে রক্ষা পাবেন।
জুতো পালটে দেখতে পারেন। জুতোর জন্য অনেক সময় পায়ে ব্যাথা হয়।
৫ থেকে ১৫ মিনিট যদি পায়ে বরফ সেক করতে পারেন, তাহলে পায়ের পাতা ফোলা থেকে রক্ষা মেলে।
তবে পায়ের পাতা যদি প্রায় ফুলতে থাকে এবং ব্যাথা, যন্ত্রণায় কষ্ট পান, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যান। কোন কোন উপসর্গ দেখা দিলে যেতে হবে চিকিৎসকের কাছ...
পায়ের পাতা ফুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি জ্বর আসে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যান।
পায়ে খুব ব্যাথা হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
পায়ের পাতা সব সময় ভারী হয়ে গেলে, ডাক্তারের কাছে যান।
পা ফেলে যদি হাঁটতে না পারেন দীর্ঘ সময় ধরে, তাহলে ডাক্তার দেখাতে হবে।
পায়ের পাতা যদি বেশি করে ঘেমে যেতে শুরু করে কিছুদিন ধরে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যান।
কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে নানা ধরনের টোটকা মেনে চলেও যদি ফোলা না কমে, তাহলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তাড়াতাড়ি।