বর্তমান যুগে সারাদিন স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকানোর ফলে চোখের উপর অনেক চাপ পড়ে, যার কারণে দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। এই সমস্যাটি প্রাপ্তবয়স্ক বা বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও দেখা যায়, যার কারণে সঠিকভাবে দেখার জন্য চশমার উপর অবলম্বন করতে হয়। দুর্বল দৃষ্টিশক্তির পিছনে আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে একটি কারণ হল ভুল ডায়েট। খাদ্যের মাধ্যমে পাওয়া পুষ্টির অভাবেও চোখ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায়। তাই প্রথমে চোখ সুস্থ রাখতে, স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের স্ক্রিনের সময় কমাতে হবে এবং খাদ্যতালিকা উন্নত করতে হবে।
চোখের ভালো স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক, টমেটো, ক্যাপসিকাম, কলা, ব্লুবেরি, পেয়ারা, কমলা, ব্রোকলি - এই ফল ও সবজি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গাজরে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ, যা চোখের রেটিনাকে শক্তিশালী করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি, যা চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে সহায়ক। ক্যাপসিকাম ও পেয়ারা ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ, যা চোখের পেশী শক্তিশালী করে এবং চোখের ক্লান্তি কমায়।
মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিনের একটি ভালো উৎস, যা বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে চোখকে রক্ষা করে এবং সুস্থ রাখে। কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। কলা চোখকে হাইড্রেট রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। কমলাতে রয়েছে ভিটামিন সি। কমলা চোখের স্নায়ু সুস্থ রাখে এবং দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করে। ব্রোকলি ও পালং শাকে পাওয়া যায় লুটেইন এবং জিক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রতিদিন চোখের ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুমানো, রোদে সানগ্লাস পরা এবং কাজের সময় প্রতি ২০ মিনিটে চোখকে বিশ্রাম দেওয়ার মতো কাজ করলে চোখ সুস্থ থাকে।