
এই তীব্র গরমে জলের ঘাটতি যোগায় শসা সারাদিনে গরমে ঘুরতে ঘুরতে একটা শসা খেলে শরীরে আরাম হয়। তৃপ্তি দেয়। তাই শসার বিকল্প নেই এই গরমে। শসা শুধু শরীরের জলের চাহিদা মেটায় তা নয় শসার অসংখ্য গুন রয়েছে যে গুণ শরীরে উপকারে লাগে। পেটের সমস্যা থেকে স্ক্রিনের সমস্যা সবারই মুশকিল আসান শসা। তাই এই সময় শসা খাওয়া ভীষণ উপকার। শরীর হাইড্রেটের রাখে। শসার মধ্যে পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন - এ, বি, সি ও কে এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে তাতে শরীরে ক্ষতি হতে পারে। জেনে নিন বিস্তারিত।
শসা খাওয়ার পর ভুল করেও দুধ খাবেন না। এতে এসিডিটি হতে পারে। বদহজম বা অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। শসা খাওয়ার অন্ততপক্ষে এক ঘন্টা পর দুধ খাবেন। শসা খেয়েই দুধ খাবেন না। শসা খাওয়ার পর আঙ্গুর পাতি লেবু কমলা লেবু খাবেন না। এই খাবারগুলি শসা খাবার পর খেলে দুধের মতই এসিডিটির সমস্যা হতে পারে ফলে অম্বল গ্যাস পেট ফাঁপা বুক জ্বালা এই সমস্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শসা খাওয়ার পর এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন। যাদের সর্দি কাশি বা ঠান্ডা লাগার সমস্যা রয়েছে তারা শসা এবং কলা একসাথে খাবেন না। দুটোই ঠান্ডা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শ্লেষ্মা বাড়াতে পারে। শসা খাওয়ার পরেই কলা খাবেন না। অনেকটা সময় পরে খান অথবা যে কোন একটা খান। এছাড়া শসাতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে জল থাকে তাই শসা খেয়ে জল খাবেন না এতো অম্বল হতে পারে। জল খেয়ে কিছুক্ষণ পর শসা খান অথবা শসা খাওয়ার অনেকক্ষণ সময় পর জল খান। তাহলে এই সমস্যার হবে না। এছাড়া শসা নিয়ম করে খেতেই পারেন কারণ শশা খাবার খাওয়ার পরে খেলে হজমে সহায়তা করে। তবে অনেকেই রাতের দিকে শসা খেতে বারণ করেন কারণ এতে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বাড়তে পারে। এছাড়া দীর্ঘক্ষণ কেটে রাখা শসা খাবেন না। শসা খোলা ছাড়িয়ে তৎক্ষণাৎ খেয়ে নিন।