
বাড়িতে বোগেনভিলিয়া গাছ থাকলে তা কেবল স্বাস্থ্যের জন্য নয়, বরং বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী আমাদের জীবনে পরিবর্তন আনে। এই গাছটি ফুল উজ্জ্বল রঙের। তবে বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, গাছটির অবস্থান ও দিক পরিবর্তন করে এর প্রভাব পজিটিভ বা নেগেটিভ হতে পারে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
প্রাচীন কাল থেকে বজায় আসা বাস্তু শাস্ত্রের মতে, প্রতিটি দিকের শক্তির প্রবাহ আলাদা। বাড়ির নির্দিষ্ট কোনায় যদি বোগেনভিলিয়া গাছটি সঠিকভাবে লাগান।দক্ষিণ-পশ্চিম বা পূর্বদিকের কোনায়, তবে এর উজ্জ্বলতা ও সতেজ সবুজ পাতা বাড়ির চারপাশে দারুন এনার্জি ছড়ায়। এ অবস্থানে গাছটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আশেপাশের পরিবেশে শান্তি ও সুশৃঙ্খলতা বয়ে আনে। পরিবারের সদস্যরা শীতল ও মনোরম পরিবেশে নিজেদের শরীর ও মনের মাঝে এক অনন্য স্বস্তি অনুভব করে, যা সম্পর্ক ও স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সহায়ক। এমনটাই মত বাস্তুবিদদের।
বাস্তু শাস্ত্রের মতে, যদি এই গাছটি এমন কোনায় বসানো হয় যেখানে বাস্তু শক্তির ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় বা বাড়ির প্রবেশদ্বারের কাছাকাছি থাকে, তখন তা কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বোগেনভিলিয়ার কাঁটা ও প্রখর ফুলের সৌন্দর্য যদি ভুল দিক থেকে প্রবেশ করে, তবে বাড়ির অভ্যন্তরে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা বা বিরোধী শক্তির সঞ্চার হতে পারে। কিছু বাস্তু বিশেষজ্ঞের মতে, এ ধরণের অবস্থান সামান্য হলেও পরিবারের মধ্যে অস্থিরতা, আর্থিক সংকট বা সম্পর্কের তনু ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে এ কথাটি মাথায় রাখতে হবে যে, বাস্তু শাস্ত্র একটি রূপক ধারণা, যা মানুষের মানসিকতা, সংস্কৃতি ও প্রথার সঙ্গে মিশে আছে। বাড়ির প্রতিটি কোণে প্রাকৃতিক উপাদান রাখা যদি সঠিক পরিকল্পনায় করা হয়, তবে তা যেন আমাদের জীবনে সতেজতা, ইতিবাচক উদ্যম এবং শান্তির বার্তা বহন করে।
তাই, আপনার বাড়িতে বোগেনভিলিয়া গাছ থাকলে, আপনি যদি এর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত না হন, তবে একজন অভিজ্ঞ বাস্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করে সঠিক দিক নির্ধারণ করুন। এভাবেই আপনি এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও বাড়ির পরিবেশে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চার নিশ্চিত করতে পারবেন।