কালো জল অর্থাৎ ক্ষারীয় জল খুবই উপকারী। ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও, ফিট এবং সুস্থ থাকার জন্য এই জল পান করা পছন্দ করে মানুষ। এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে এই জল। মানবদেহের ৭০ শতাংশই জল দিয়ে গঠিত, তাই শরীর সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা খুবই জরুরি। জল শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় উপাদান দূর করার পাশাপাশি শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রাও বজায় রাখে। এছাড়াও বেশি জল পান করলে শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হয় না। কালো জলে ৭০ টিরও বেশি খনিজ মেশানো হয়।
কালো জলে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকে বলে দাবি করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো জলের ক্ষারীয় প্রকৃতির কারণে এটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এই জলে অনেক খনিজ পদার্থও থাকে, যা শরীরের জন্য আরও উপকারী। কালো জল শরীরে বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, হজমশক্তি উন্নত করে, অ্যাসিডিটি কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সাধারণ জলেও কিছু খনিজ থাকে, তবে অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে। এই খনিজগুলো শরীরের জন্য অপরিহার্য এবং এগুলোর ঘাটতি থাকলে একজন মানুষ অসুস্থও হতে পারে।
RO জলে pH মাত্রা কম এবং অম্লীয় প্রকৃতি বেশি থাকে, এই কারণে অনেক সময় RO জলের কারণে শরীরে সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় শরীরের অতিরিক্ত ভিটামিন ও সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হয়। এই প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সক্ষম কালো জল। বিশেষজ্ঞদের মতে, তরল খাবারের অ্যাসিডিক এবং ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্যগুলি pH দ্বারা পরিমাপ করা হয়, যা ০ থেকে ১৪ পয়েন্টের স্কেলে হয়। যদি একটি জলের pH স্তর ১ হয়, তবে এটি অত্যন্ত অম্লীয় হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে জলের pH স্তর ১৩ হলে সেই জলটি আরও ক্ষারীয়।
স্বাভাবিক জলের pH লেভেল ৬ থেকে ৭ এর মধ্যে হয়, যেখানে কালো জল বা ক্ষারীয় জলের pH লেভেল ৭ এর বেশি, যার অর্থ হল কালো জল সাধারণ জলের চেয়ে বেশি ক্ষারযুক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ক্ষারীয় জল বিশেষভাবে উপকারী। উদাহরণস্বরূপ, ক্ষারীয় খনিজ জল পাকস্থলীর অম্লতার কারণে উৎপাদিত পেপসিন এনজাইমের কার্যকলাপ কমাতে সহায়ক। ক্ষারীয় জলের pH লেভেল ৮.৮ থাকে তবে এটি এই এনজাইমের প্রভাব কমাতে সহায়ক।