কলকাতা : আধুনিক যুগে, ডিজিটাল ডিভাইসগুলি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে আমরা যত বেশি স্ক্রিন টাইম (Screen Time) ব্যবহার করি, আমাদের তত বেশি ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের (Child) বেশি স্ক্রিন টাইম ব্যবহারে শুধু চোখের সমস্যাই নয়, মস্তিষ্কের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে।
চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. বিনীত সেহগাল বলেছেন, স্ক্রিন টাইম বাড়ানোকে অনেক চোখের রোগ যেমন মায়োপিয়া, শুষ্ক চোখ, দৃষ্টি সিনড্রোম ইত্যাদির জন্য প্রধান ঝুঁকির কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে যা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। পর্দা থেকে নির্গত নীল আলো চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। স্ক্রিন টাইম চোখের সমস্যার পাশাপাশি শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বাড়াচ্ছে এবং এই স্থূলতার কারণে ঘুমের সমস্যা, মস্তিষ্কের সমস্যাও বাড়ছে। জেনে নেওয়া যাক কিভাবে জানবেন আপনার স্ক্রিন টাইম বেড়েছে কি না?
চোখের সমস্যা
স্ক্রিন টাইম বাড়ানোর সবচেয়ে বড় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া চোখের স্বাস্থ্যের উপর। দূরের জিনিস দেখতে যদি আপনার দৃষ্টি ঝাপসা হয়, পরিষ্কারভাবে দেখার জন্য আপনার চোখ কুঁচকে বা সামান্য বন্ধ করতে হয়, ঘন ঘন মাথাব্যথা হয় বা চোখের চাপ অনুভব করেন। তবে অবিলম্বে স্ক্রিন এড়ানো উচিত। এগুলি মায়োপিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে এবং অবিলম্বে চিকিত্সা করা উচিত।
ঘুমের সমস্যা বা ঘন ঘন বিরতি
গবেষণায় দেখা গেছে যে স্ক্রিন টাইম বাড়ানো ঘুমের সমস্যা হতে পারে। খুব বেশি স্ক্রীন দেখা ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনিও যদি কয়েকদিন ধরে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন, তাহলে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করে দিন।
আরও পড়ুন : Blood Donation : রক্তদান কি নিরাপদ? কত দিনের ব্যবধানে রক্ত বা প্লেটলেট দান করা যেতে পারে?
ওজন বৃদ্ধির সমস্যা
স্ক্রিন টাইমও আপনার ওজন বাড়াতে পারে। স্ক্রিনে বেশি সময় কাটানোর কারণে, আপনার শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা কমতে শুরু করে, যা ক্যালোরি বার্ন করা কমায় এবং ওজন বাড়াতে পারে। বেশি মোবাইল ব্যবহারের কারণে শিশুদের মধ্যে এই ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই নিবন্ধটি মেডিকেল রিপোর্ট থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। উল্লিখিত রোগ সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।