‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাই’ হল একটি জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রথম পছন্দ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। এই কারণেই ১৩ জুলাই আমেরিকায় পালন করা হয় জাতীয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিবস। তবে আমেরিকার পাশাপাশি সারা বিশ্বে পালন করা হয় এই দিনটি। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এমন একটি ফাস্ট ফুড, যা সারা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি ফাস্ট ফুড চেইন এবং রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের ইতিহাস সহ কিছু জানা অজানা তথ্য...

কথিত আছে যে ফ্রান্স এবং উত্তর বেলজিয়ামের আশেপাশের জায়গাগুলিতে প্রথম শুরু হয়েছিল ভাজা আলু খাওয়ার প্রচলন। বেলজিয়ামের মস ভ্যালির কাছে একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে মানুষ নদী থেকে মাছ ধরে ভেজে খেত। তবে শীতকালে নদীগুলো বরফে পরিণত হলে মাছ পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। এই সময়ে, উত্তর বেলজিয়ামের আশেপাশের কিছু গ্রামের মানুষ শুরু করে আলু ভাজা খাওয়া। পেট ভরার জন্য গ্রামবাসীরা ছোট মাছের আকারে আলু কেটে তেলে ভেজে খাওয়া শুরু করে। এইভাবে এই ধরনের আলু ভাজা তাদের স্থায়ী খাদ্য হয়ে ওঠে।

১৭ শতকের দিকে ফরাসি বিপ্লবের সময়, সৈন্যদের খেতে হয়েছিল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। সেই সময়ে, ফ্রান্সের বিখ্যাত প্যারিসিয়ান সেতুর নামানুসারে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইকে বলা হত ফ্রাইটস পন্ট নিউফ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান আর্মিরা যখন এই খাবার সম্পর্কে জানতে পেরে খুব পছন্দ করেছিল। তারা প্রথমবার এটি কেচাপ, মেয়োনিজ এবং ভিনেগার দিয়ে খাওয়ার পর এর নাম দেয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। এরপর ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বেলজিয়ামে একটি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মিউজিয়ামও রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর ১৩ জুলাই পালন করা হয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিবস।