কলকাতা: স্বাদেগুণে ভরপুর আম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। অনেকেরেই আম (Mango) খুব প্রিয় ফল। মৌসুমি এই ফলটি কেউ কেউ আবার অনেক বেশি মাত্রায় খেয়ে ফেলেন। তবে আপনি কি জানেন আম কতটা পরিমাণ খাওয়া ঠিক বা এই আম খাওয়ার সঠিক সময়ই বা কখন? আম খাওয়ারও একটি সঠিক সময় ও উপায়। আম খাওয়ার আগে খাবেন নাকি পরে, এরও কিছু নিয়ম আছে। চলুন তা দেখে নেওয়া যাক ।
আমকে কেন ফলের রাজা বলা হয়?
ফলের রাজা বলা আম অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির একটি বড় উৎস। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের এক সমীক্ষা অনুসারে, আম প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন- সি, কপার, ফোলেট, ভিটামিন- বি৬, ভিটামিন- এ, ভিটামিন- কে, ভিটামিন-ই, নিয়াসিন, পটাসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ম্যাগনেসিয়াম, থায়ামিনের ভরপুর। হয়। আমে প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। আপনারও যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলেও আপনি অল্প পরিমাণে আম খেতেই পারেন।
আম খাওয়ার সঠিক সময় কখন?
পুষ্টিবিদদের মতে, পোস্ট লাঞ্চ হল আম খাওয়ার সঠিক সময়, মানে দুপুরের খাবারের কিছুক্ষণ পর। আম খেলে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক থাকবে। খালি পেটে আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যায়। তাই সকালে খালি পেটে আম না খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
খাওয়ার আগে আম জলে ভিজিয়ে রাখুন
পুষ্টিবিদ পুনম দুনেজার মতে, বাজার থেকে আম কেনার সঙ্গে সঙ্গে তা খাওয়া উচিত নয় কারণ আমে ফাইটিক অ্যাসিড নামের প্রাকৃতিক অণু থাকে। আম খাওয়ার আগে অন্তত আধা ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টা জলে ডুবিয়ে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ফাইটিক অ্যাসিড আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আম কিছুক্ষণ জলে ডুবিয়ে রেখে দিলে ওই জল অতিরিক্ত ফাইটিক অ্যাসিড শুষে নেয়।
দিনে কটা আম খাওয়া যেতে পারে?
ডাঃ এডউইনা রাজের মতে, দিনের বেলা গোটা একটি আম খাওয়ার পরিবর্তে একটি আমকে দুই ভাগে ভাগ করে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে খাওয়াই ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ থাকায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে।
রাতের খাবার পর আম খাবেন না
পুষ্টিবিদদের মতে, রাতের খাবারের পর আম কখনোই ডেজার্ট হিসেবে খাওয়া উচিত নয়। রাতে আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এটি দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, যার কারণে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য রাতে আম খাওয়া আরও বিপজ্জনক হতে পারে।