সঙ্গীত বিনোদনের মাধ্যম হওয়ার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবনের সুখের মুহূর্ত হোক বা দুঃখের ঘটনা, একা থাকা হোক বা বন্ধুদের সঙ্গে বা পরিবারের সঙ্গে, ভ্রমণ হোক বা বাড়িতে সময় কাটানো, সব পরিস্থিতিতেই সঙ্গীত আমাদের সবথেকে ভালো সঙ্গী। সঙ্গীত আমাদের মনকে শান্ত করতে সাহায্য করার পাশাপাশি মেজাজও উন্নত করে। সঙ্গীতের এই গুরুত্ব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতি বছর ২১ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য এটি একটি বিশেষ দিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দিনের ইতিহাস।

ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্ত বিশ্ব সঙ্গীত দিবসের ইতিহাস। ১৯৮২ সালে ফ্রান্সে প্রথমবার পালন করা হয় বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। ফ্রান্সের সেই সময়ের সংস্কৃতিমন্ত্রী জ্যাক ল্যাং দেশের সঙ্গীতের প্রতি মানুষের আবেগের পরিপ্রেক্ষিতে সঙ্গীত দিবস পালন করার ঘোষণা করেছিলেন। এই দিনটিকে বলা হত 'ফেটে লা মিউজিক'। ফ্রান্সে যখন প্রথমবার সঙ্গীত দিবস পালন করা হয়, তখন এই বিষয়ে সমর্থন করে ৩২টিরও বেশি দেশ। এই দিনে আয়োজন করা হয়েছিল বিভিন্ন কর্মসূচি।

সময়ের সঙ্গে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। বর্তমানে ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন, কানাডা, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, ইতালি, গ্রীস, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, পেরু, ব্রাজিল, ইকুয়েডর, মেক্সিকো সহ বিশ্বের অনেক দেশেই পালন করা হয় এই দিনটি। সঙ্গীত শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গান বা মিউজিক শুনলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিনের কোলাহলের মধ্যে, জীবনে শান্তির মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ দেয় সঙ্গীত। এক কথায় সঙ্গীত বা মিউজিক হয়ে ওঠে একাকীত্বের সঙ্গী।