বিপদের বার্তা নিয়ে আসে কালো বিড়াল, সত্যিই কি তাই?
photo credit: flicker

ঝড় উঠেছে সঙ্গে ঝিম ধরা বৃষ্টি, বেলা দশটাতেই যেন সন্ধ্যা হয়ে এল। মন খারাপের প্রহর গুনতে গুনতে জানলার ধারে বসে বৃষ্টি দেখছেন। তুতো ভাইবোনের চেপে ধরতেই নিজের হোস্টেল লাইফের ভুতের গল্প বলতে শুরু করলেন। অনিবার্যভাবেই গল্পের প্লটে ঢুকে পড়ল কালো বিড়াল। মজার বিষয় হল, অন্ধকার, নির্জনতার সঙ্গে কালো বিড়ালের এক ওতপ্রোত যোগাযোগ রয়েছে। যেন সমস্ত রকম বিপর্যয় আর অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবেই কালো বিড়াল চলে আসে আমাদের দৈন্দিন জীবনে।বহুদিন ধরেই এই ব্যবহার হয়ে আসছে৷ অনেক প্রখ্যাত লেখকও তাঁদের বিভিন্ন ভৌতিক গল্প বা কাহিনিতে কালো বিড়ালকে বিভীষিকার প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করেছেন। কালো বিড়াল(Black cat) রাস্তা পার করলে এখনও গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে৷ কিন্তু কালো বিড়ালকে কেন অশুভ প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়?

বিড়ালকে দেখে দাঁড়িয়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে যুক্তিবাদীদের বক্তব্য, কালো হোক বা সাদা, বিড়াল জাতীয় ছোট প্রাণীদের সাধারণত অন্য বড় প্রাণী বা মানুষ তাড়া করে। এরফলে তারা এক জায়গা থেকে অন্যত্র ছোটাছুটি করে৷ তাই বিড়াল দেখার পর একটু দাঁড়িয়ে গেলে ওই প্রাণী বা মানুষের সঙ্গে ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা কমে যায়৷ কালো বিড়ালকে অশুভ বলার পিছনেও যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ কারণ রয়েছে৷ সাধারণত কালো রঙকে অশুভ প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়৷ সেই কুসংস্কার থেকেই কালো বিড়ালকেও অশুভ শক্তির প্রতীক হিসাবে গণ্য করা হয়।

কালো বিড়ালকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই সাধারণের মনে৷ বাড়ির মা-ঠাকুমারা এখনও কালো বিড়ালকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন৷ শুভ কাজে যাওয়ার সময় সামনে দিয়ে কালো বিড়াল চলে গেলে একটু দাঁড়িয়ে যেতে বলেন সকলে৷ কিন্তু কেন? এর পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে৷ অতীতে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিল গরুর গাড়ি৷ আর গরুদের সামনে দিয়ে কালো বিড়াল গেলেই তারা অস্থির হয়ে পড়ত৷ গরুদের শান্ত করতে চালককে কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি থামিয়ে দিতে হত। সেই রেওয়াজই নাকি পরবর্তীকালে কুসংস্কারে পরিণত হয় এবং সেই থেকেই নাকি যেকোনও গাড়ির সামনে দিয়ে কালো বিড়াল গেলেই, গাড়ি থামিয়ে দেওয়ার রীতি শুরু হয়েছে।