সনাতন ধর্মে, প্রতি মাসের চতুর্থী তিথি উৎসর্গ করা হয় ভগবান গণেশকে। প্রতি মাসে মোট পালিত হয় দুটি চতুর্থী। এক হল শুক্লপক্ষ চতুর্থী, যাকে বলা হয় বিনায়ক চতুর্থী এবং অন্যটি হল কৃষ্ণপক্ষ চতুর্থী, যাকে বলে সংকষ্টী চতুর্থী। বৈশাখ কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে বলা হয় বিকট সংকষ্টী চতুর্থী। মান্যতা রয়েছে যে বিকট সংকষ্টী চতুর্থীতে উপবাস ও পুজো করলে সমস্ত কষ্ট দূর করেন ভগবান গণেশ। ২০২৪ সালে বিকট সংকষ্টী চতুর্থী পালন করা হবে ২৭ এপ্রিল, শনিবার। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক বিকট সংকষ্টী চতুর্থীর গুরুত্ব।
মান্যতা রয়েছে, বিকট সংকষ্টী চতুর্থীর পুজো করলে যেকোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিজ্ঞ পুরোহিতরা বিশ্বাস করেন যে মায়ের সন্তান ধারণে বাধা বা দাম্পত্য জীবনে কোনও প্রকার সমস্যা বা দাম্পত্য জীবনে কলহ বা দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরলে সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস পালন করা উচিত। বিশ্বাস করা হয় যে সঠিক নিয়ম এবং সত্যিকারের ভক্তির সঙ্গে এই পুজো করলে, যেকোনও কঠিন সমস্যার সমাধান করে দেন ভগবান গণেশ। প্রতি চতুর্থীতে উপবাস পালন করে বাড়িতে গণেশের পুজো করলে পরিবারে কখনও কোনও দুঃখ কষ্ট থাকে না।
২০২৪ সালে বৈশাখ কৃষ্ণপক্ষ চতুর্থী শুরু হবে ২৭ এপ্রিল, শনিবার সকাল ০৮:১৭ মিনিটে এবং শেষ হবে ২৮ এপ্রিল, রবিবার সকাল ০৮:২১ মিনিটে। চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে, ২৭ এপ্রিল পালন করা হবে বিকট সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস। বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীতে ব্রাহ্মমুহূর্তে স্নান করে সূর্যোদয়ের আগে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে ভগবান শ্রী গণেশের ধ্যান করে শুরু হবে উপবাস। পুজোর সময় অনুযায়ী বাড়ির মন্দিরে একটি লাল বা হলুদ কাপড় বিছিয়ে ভগবান শ্রী গণেশের মূর্তি স্থাপন করতে হবে। এবার গঙ্গাজল দিয়ে ভগবান শ্রী গণেশের মূর্তি স্নান করিয়ে ধূপ প্রদীপ জ্বালিয়ে মন্ত্র পাঠ করে পুজো করতে হবে। এরপর গণেশ চালিসা পাঠ করে গণেশের আরতি করতে হবে। রাতে চাঁদ দেখে ও চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করার পর সম্পন্ন হবে উপবাস।