হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্রে বছরের বারোটি পূর্ণিমা তিথিরই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তবে বৈশাখ পূর্ণিমাকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। অশ্বত্থ গাছে শ্রী হরির বাস বলে বৈশাখ মাসে শ্রী হরির সঙ্গে পুজো করা হয় অশ্বত্থ গাছের। বৈশাখ পূর্ণিমার দিনটি পবিত্র হওয়ার কারণে এই দিনে অনেক বাড়িতে আয়োজন করা হয় শুভ অনুষ্ঠানের। বৈশাখ পূর্ণিমায় পুজো করা হয় শ্রী হরি ও লক্ষ্মীর, সত্যনারায়ণ কথাও পাঠ করা হয় এদিন। অনেক বাড়িতে এদিন চাঁদের পুজো করার নিয়ম রয়েছে। মান্যতা রয়েছে, এই দিনে উপবাস করে পুজো করলে জীবনের সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর হয়, এমনকি আর্থিক সমস্যার সমাধান হয়।
২০২৪ সালে বৈশাখ পূর্ণিমা পালন করা হবে, ২৩ মে, বৃহস্পতিবার। ধর্মীয় দিক থেকে দেখলে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বৈশাখ পূর্ণিমা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৈশাখ পূর্ণিমার পুজো করা হয় যম পূর্ণিমা নামে। জ্যোতিষীদের মতে, বৈশাখ পূর্ণিমায় যমকে এক কলস জল দান করলে মৃত্যুর পরে বৈকুণ্ঠ ধামে স্থান পাওয়া যায়। উত্তর ভারতে এই দিনে পুজো করা হয় অশ্বত্থ গাছের। বৈশাখ পূর্ণিমায় সূর্যোদয়ের আগে স্নান করে অশ্বত্থ গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে অশ্বত্থ গাছের পরিক্রমা করা হয়।
বৈশাখ পূর্ণিমা শুরু হবে ২২ মে, বুধবার, সন্ধ্যা ০৬:৪৭ মিনিটে এবং শেষ হবে ২৩ মে, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ০৭:২২ মিনিটে। উদয় তিথি অনুসারে বৈশাখ পূর্ণিমা পালন করা হবে ২৩ মে। বৈশাখ পূর্ণিমার উপবাস করলে ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে গঙ্গা স্নান করতে হবে বা স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা গঙ্গা জল মিশিয়ে স্নান করে পুজো করতে হবে শ্রী হরি ও দেবী লক্ষ্মীর। প্রথমে ধূপ প্রদীপ জ্বালিয়ে মন্ত্র জপ করতে হবে। এরপর দেবী লক্ষ্মীকে নিবেদন করতে হবে বিবাহের সামগ্রী। এছাড়া নিবেদন করতে হবে পান, সুপারি, তুলসী পাতা এবং নৈবেদ্য হিসেবে জাফরান ক্ষির এবং ফল। শেষে আরতি করতে হবে ভগবান বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর।