প্রতি বছর ৯ নভেম্বর পালন করা হয় উত্তরাখণ্ডের প্রতিষ্ঠা দিবস। উত্তরাখণ্ডের পৃথক রাজ্যের দাবিতে বেশ কয়েক বছর আন্দোলনের পর অবশেষে ২০০০ সালের ৯ নভেম্বর একটি পৃথক রাজ্যে পরিণত হয় উত্তরাখণ্ড। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এটি উত্তরাঞ্চল নামে পরিচিত ছিল, এরপর ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে এর নাম পরিবর্তন করে হয় উত্তরাখণ্ড। উত্তরাখণ্ড অনেক প্রাচীন ধর্মীয় স্থান হওয়ার পাশাপাশি দেশের বৃহত্তম নদী গঙ্গা এবং যমুনার উৎপত্তিস্থল।

উত্তরাখণ্ড "দেবভূমি" নামেও পরিচিত। উত্তর ভারতে অবস্থিত এই রাজ্যটি ভারতীয় তীর্থস্থানগুলির মধ্যে অন্যতম। উত্তরাখণ্ড ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং হরিয়ানা রাজ্যগুলির সীমানা, যার মধ্যে রয়েছে তিব্বত এবং নেপাল। সংস্কৃত ভাষায় উত্তরাখণ্ড শব্দের অর্থ "উত্তর শহর"। ২০০৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর নাম উত্তরাঞ্চল থেকে পরিবর্তন করে করা হয় উত্তরাখণ্ড। উত্তরাখণ্ড চারধাম নামে পরিচিত, চারটি সবচেয়ে পবিত্র হিন্দু মন্দিরের আবাসস্থল। এর মধ্যে রয়েছে বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমনোত্রী।

উত্তরাখণ্ড গঠনের অনেক কারণ রয়েছে, এর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল হিমালয় অঞ্চলের মানুষের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের দাবি। তারা অনুভব করেছিল যে উত্তরপ্রদেশের একটি অংশ হওয়ায় তারা তাদের উন্নয়ন এবং সম্পদের ন্যায্য অংশ পাচ্ছিল না। এছাড়া তারা অনুভব করেছিল যে তাদের অনন্য সংস্কৃতি এবং পরিচয় বড় রাষ্ট্র দ্বারা চাপা দেওয়া হচ্ছে। উত্তরাখণ্ড প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গোটা রাজ্যে থাকে সরকারি ছুটি। রাজ্য জুড়ে উৎসব পালিত হয় এই দিনে। উত্তরাখণ্ড প্রতিষ্ঠা দিবসের উদ্দেশ্য হল রাজ্য গঠনের স্মৃতিচারণ করা এবং রাজ্যের ঐক্য ও সমৃদ্ধি প্রচার করা। এই দিনটি রাজ্যের মানুষের জন্য গর্বের ও উদ্দীপনার দিন।