মা কালী Representational Image (Photo Credits: File Image)

আজ ভূতচতুর্দশী। কালীপুজোর (Kali Puja 2020)আগের চতুর্দশীর রাতকে বলা হয় ভূত চতুর্দশী (Bhoot Chaturdashi 2020)। কার্তিক মাসের অমাবস্যার এই রাত নিয়ে রয়েছে একাধিক কুসংস্কার। কথিত আছে, অমাবস্যার রাতের অন্ধকারে মর্ত্যে নেমে আসেন ভূত-পেত্নী, এককথায় অশরীরি আত্মারা। যার জন্য এদিনে নিয়ম করে ১৪ রকমের শাক খাওয়ার এবং বিকেলে অন্ধকার সরিয়ে আলোয় বাড়ি আলোকিত করতে ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রেওয়াজ চলেই আসছে।

ভূত চতুর্দশীকে নরক চতুর্দশীও বলা হয়। বলা হয়, মা কালীর বাহন হলেন ডাকিনী ও যোগিনী। মা শ্মশানবাসিনী, তাইও ভূতেদের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। তাই কালীপুজোর আগেরদিন বাহনরা আগে নেমে আসেন। তবে এগুলি সবই কথিত রয়েছে। পুরাণ মতে, নরক চতুর্দশীতে বধ হয়েছিলেন নরকাসুর। আরও পড়ুন, করোনাকালে ভূত চতুর্দশী উপলক্ষে আপনার বন্ধু-স্বজনদের পাঠিয়ে দিন এই বাংলা Facebook Greetings, WhatsApp Status, GIFs, HD Wallpapers এবং SMS শুভেচ্ছাগুলি

সব পুজো মণ্ডপে কিন্তু কালী প্রতিমার (Goddess Kali) পাশে এই ডাকিনী যোগিনী থাকে না তা বলাই বাহুল্য। কুমোরটুলিতে (Kumartuli) প্রবেশ করে প্রতিমার সাম্রাজ্যের মাঝেই খোঁজ পাওয়া যায় ডাকিনী যোগিনীর বিশাল সম্ভারের। আলাদা করেই বেশিরভাগ বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা ডাকিনী যোগিনী কিনে নিয়ে যান। ডাকিনী যোগিনী মিলিয়ে দাম মোটামুটি হাজার টাকা থেকে শুরু।

এই ডিজিটাল যুগে কালী প্রতিমার পাশে ডাকিনী যোগিনীর মতো কিছু চরিত্র বাস্তবিকভাবেই টিকিয়ে রেখেছে তাদের অস্তিত্ব। এখন পাড়ার মণ্ডপে ঠাকুর এলে আগে কিন্তু দেখা হয় ডাকিনী যোগিনী সঙ্গে এল কি না। আসলে মেয়েবেলার সেই ভয়টাকে যদি বাঁচিয়ে রাখা যায় তাহলেই তো পরম পাওয়া, তাই না।

কোনও মায়ের রং কালো, কোথাও শ্যামা। কোথাও মুখে রুদ্র ভাব, কোথাও অপেক্ষাকৃত শান্ত। তবে বড়দের কাছে মায়ের মূর্তি নিয়ে কৌতূহল থাকলেও ছোটদের কাছে কিন্তু মাতৃ প্রতিমার চেয়েও বেশি কৌতূহল তাঁর দুপাশে বসানো ডাকিনী যোগিনী নিয়ে। ছোট্ট মন মা কালীর দুপাশে রাখা ডাকিনী আর যোগিনীর বীভৎস মুখ ও ভঙ্গিমায় ক্ষণিকের জন্য হলেও আবিষ্ট হয়ে পড়ত। ছোটবেলার মনে দাগ কাটা সেই ২ চরিত্রের উৎস সন্ধানে বড়দের জন্য থাকত একগুচ্ছ প্রশ্ন। সে ভয়ও হতে পারে, আবার কৌতূহলও হতে পারে। কালীপুজোয় ডাকিনী যোগিনী আবশ্যক না তবে যে মণ্ডপে মায়ের সঙ্গে তারা আসে সেই মণ্ডপের আকর্ষণ কিন্তু একটু বেশিই থাকে।