নবরাত্রির নবম দিনে আরাধনা হয় দেবী সিদ্ধিদাত্রীর। শারদ নবরাত্রির নবম দিনে দেবী সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করেন ভক্তরা। এটাই নবদুর্গার শেষ রূপ। এই রূপে দেবী অষ্টসিদ্ধি দান করেন। সেই কারণে দেবীর এই রূপের নাম সিদ্ধিদাত্রী।কথিত আছে, অর্ধনারীশ্বর রূপে পরমেশ্বর শিবের বাম অঙ্গে দেবী সিদ্ধিদাত্রী অবস্থান করেন। দেবী সিংহবাহিনী তবে, তিনি পদ্মের ওপর আসীন। দেবী চার হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম। মানুষ, দৈত্য, দেবতা থেকে সকলেই দেবী সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করে।
দেবী এই রূপে সাক্ষাৎ নারায়ণী বলেই মনে করেন ভক্তরা। দুর্গা পূজা ও বাসন্তী পূজার নবমীর দিন দেবীর সেই রূপের পূজা ও ব্রত করলে অষ্টসিদ্ধি লাভ করেন সাধক। এই অষ্টসিদ্ধি হল অনিমা, লঘিমা, প্রাপ্তি, গরিমা, ঈশিতা, প্রাকাম্য, বশিতা ও মহিমা।এই অষ্টসিদ্ধিকে সাক্ষাৎ ব্রহ্মবিদ্যা বলেই শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয়।
অষ্টমীর মত নবমীতেও কন্যাপূজার রীতি অনেকেই পালন করেন। দেবী ভাগবত পুরাণে রয়েছে, স্বয়ং মহাদেব দেবী পার্বতীকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করেছিলেন। আর, সেই পুজোর কারণেই মহাদেব সমস্ত সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। ভক্তদের বিশ্বাস, নবমীতে পদ্মাসনে বসা দেবী সিদ্ধিদাত্রীকে তিলের তৈরি নাড়ু ভোগ দিলে ভক্তের অপঘাতে মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হয়।
শাস্ত্র অনুযায়ী, দেবী সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করলে সাধকের জন্মকুণ্ডলীর ষষ্ঠ এবং একাদশ ভাব মজবুত হয়। যাদের জীবনে শত্রুর বৃদ্ধি ঘটেছে, আদালতের মামলা কখনও শেষ হচ্ছে না, কেতুর সমস্যায় ভুগছেন- এসব ক্ষেত্রেও শুভ ফল দেন দেবী সিদ্ধিদাত্রী।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সিদ্ধিদাত্রীর মন্দির রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান হল কাশী বা বারাণসী। এছাড়াও ছত্তিশগড়ের দেবপাহাড়ি, মধ্যপ্রদেশের সাতনা ও সগরের সিদ্ধিদাত্রী মন্দির। শরৎ ও বসন্তের নবরাত্রির নবম দিনে এই সব মন্দিরে ব্যাপক সংখ্যায় ভিড় করেন ভক্তরা।