বাংলা মাস অনুযায়ী চতুর্থ মাস শ্রাবণ এবং শ্রাবণ মাসের আরাধ্য দেবতা দেবাদিদেব মহাদেব।

বেলপাতা, ধূতরা ফুল ও নীলকন্ঠ ফুল মহাদেবের অত্যন্ত পছন্দের। চার প্রহরে একে একে দুধ, মধু, ঘি ও গঙ্গাজল দিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালার রীতি রয়েছে। পুজোর বিধি মেনে শ্রাবণ মাসে মহাদেবের ব্রত পালন করলে সকল মনের ইচ্ছে পূরণ হয়।  বেদে মহাদেবের পুজোর জন্য কয়েকটি ফুল-পাতা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।এবার সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক

বেলপাতা  বেল পাতা

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী বেল পাতা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। পবিত্র এই পাতা মহাদেবের শ্রীচরণে উত্‍সর্গ করা হয়। বেল পাতাকে দেবাদিদেবের ত্রিনয়নের মতো দেখতে বলেই বেল পাতা দিয়ে মহাদেবের পুজোর রীতি প্রচলিত।

অপরাজিতা

মহাদেবের অপর নাম নীলকণ্ঠ। সমুদ্র মন্থনের সময় যে প্রচণ্ড বিষ উঠেছিল, সমগ্র সৃষ্টিকে তার থেকে বাঁচাতে সেই বিষ নিজের কণ্ঠে ধারণ করেছিলেন মহাদেব। ফলে তাঁর সারা শরীর নীলবর্ণ ধারণ করে। অপরাজিতা ফুলের রং ঠিক মহাদেবের গাত্রবর্ণের মতোই। মহাদেবের অপার সহ্য শক্তির প্রতীক এই ফুল শিব পুজোয় ব্যবহৃত হয়।

চাঁপা

মনে করা হয় চাঁপা ফুলের গন্ধ আশীর্বাদ ও শুভকামনা বয়ে আনে। মন ভালো করে দেওয়া গন্ধের চাঁপা ফুল শিবের পায়ে উত্‍সর্গ করা হয়। ঠিক যেমন ভক্তেরা তাঁদের সমগ্র সত্ত্বা মহাদেবের পায়ে উত্‍সর্গ করেন।

আকন্দ- মনে করা হয় আকন্দ ফুলের গন্ধে হারানো স্মৃতি ফিরে আসে। আকন্দ ফুল দিয়েও মহাদেবের পুজোর রীতি প্রচলিত।

কল্কে

কল্কে ফুলের গাঢ় হলুদ রং ত্যাগের প্রতীক। দেবাদিদেব মহাদেব নিজেও ত্যাগ ও তিতিক্ষার প্রতীক। তাই কল্কে ফুল দিয়ে শিবপুজো করা হয়ে থাকে।

জুঁই

ছোট্ট ছোট্ট জুঁই ফুলের অপূর্ব মিষ্টি সুবাস মহাদেবকে উত্‍সর্গ করা হয়ে থাকে। ক্ষমার প্রতীক দেবাদিদেবের অত্যন্ত পছন্দের এই ফুল।