১৯৪৪ সালের ২০ আগস্ট ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণ করেন ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। তাঁর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর ২০ আগস্ট দিনটিতে পালন করা হয় ‘সদ্ভাবনা দিবস’ এবং ‘অক্ষয় উর্জা দিবস’। দেশের সব মানুষকে একত্রিত করে দেশের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেছিলেন রাজীব গান্ধী। তাই ভারতের সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে ঐক্য, শান্তি, স্নেহ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে উৎসাহিত করা হল সদ্ভাবনা দিবস পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য। সদ্ভাবনা দিবস উপলক্ষে দেশজুড়ে আয়োজন করা হয় অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রতিযোগিতার। সদ্ভাবনা দিবসে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করার অঙ্গীকার নেওয়া হয়।
সবুজের রক্ষণাবেক্ষণ, প্রকৃতির সৌন্দর্য, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কাজ করা হয় সদ্ভাবনা দিবসে। এই দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলির মূল লক্ষ্য হল পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণসহ আরও অনেক কর্মসূচির আয়োজন করা হয় সদ্ভাবনা দিবসে। এছাড়া রাজীব গান্ধীর হত্যার পর দিল্লির বীর ভূমিতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার কারণে এই দিনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বীর ভূমি পরিদর্শন করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সিনিয়র নেতারা।
ভারতে বসবাসকারী সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে জাতীয় ঐক্য, শান্তি, সহানুভূতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে উন্নত করার জন্য পালন করা হয় সদ্ভাবনা দিবস। বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে জাতীয় ঐক্য ও সামাজিক সম্প্রীতিকে উৎসাহিত করাই এই দিনটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য। প্রতি বছর ২০ আগস্ট একটি থিমের মাধ্যমে পালন করা হয় সদ্ভাবনা দিবস। ২০২৪ সালের সদ্ভাবনা দিবসের থিম হল “বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য”। ভারত এমন একটি দেশ যেখানে বহু ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের বৈচিত্র্য রয়েছে এবং যা ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি।