জন্মাষ্টমীর পর পালন করা হয় রাধাঅষ্টমীর উৎসব। কথিত আছে রাধা ছাড়া কৃষ্ণের পুজো সফল হয় না। হিন্দু ধর্মে, রাধা-কৃষ্ণের পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মান্যতা রয়েছে, রাধা অষ্টমীর দিন রাধা রানীর পুজো করলে দাম্পত্য জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্য আসে। এছাড়া কাঙ্ক্ষিত জীবনসঙ্গী পাওয়া যায়। জন্মাষ্টমীর ১৫ দিন পর রাধাজির জন্মদিন উপলক্ষে পালন করা হয় রাধা অষ্টমী। ২০২৪ সালে রাধা অষ্টমী পালন করা হবে ১১ সেপ্টেম্বর।
পঞ্জিকা অনুসারে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথি শুরু হবে ১০ সেপ্টেম্বর, রাত ১১:১১ মিনিটে এবং শেষ হবে ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১১:২৬ মিনিটে। রাধাজির পুজোর শুভ সময় থাকবে এদিন সকাল ১১:০৩ মিনিট থেকে দুপুর ০১:৩২ মিনিট পর্যন্ত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, যারা কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীতে উপবাস ও পুজো করেন তারা অবশ্যই রাধা অষ্টমীতে রাধা রানীর পুজো করেন। মান্যতা রয়েছে, রাধা অষ্টমীর পুজো না করলে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পুজোর ফল পাওয়া যায় না। রাধাজি হলেন প্রেম ও ভক্তির প্রতীক। রাধা কৃষ্ণের পুজো জীবনে স্থিতিশীলতা, প্রেম ও সম্পর্কের মাধুর্য বাড়ায়।
রাধা অষ্টমীর দিন ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে রাধাজি এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পুজো করে রাধা অষ্টমীর উপবাস শুরু করা হয়। রাধা অষ্টমীর পুজোর জন্য ৫টি রঙের আবির ব্যবহার করা হয় এবং ১৬টি পাপড়ি আকৃতির পদ্ম যন্ত্র তৈরি করে সেই পদ্মের মাঝে একটি সুন্দর আসনে শ্রী রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তি স্থাপন করা হয়। রাধা-কৃষ্ণের মূর্তিকে পঞ্চামৃত তথা দুধ, দই, মধু, ঘি এবং গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে সেই মূর্তি সাজানো হয়। এরপর ধূপ, প্রদীপ, ফুল ইত্যাদি নিবেদন করে আরতি এবং রাধা চালিসা পাঠ করা হয়।