Photo Source: Wikipedia

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল গীতিকার বা সুরকার নন, তিনি ছিলেন সংগীতস্রষ্টা। ‘গগনের থালে রবি চন্দ্র দীপক জ্বলে’ গানটিই সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম রচনা। মাত্র ১১ বছর বয়সে এই গানটি লিখেছিলেন তিনি। এরপর প্রায় ৭০ বছর ধরে নিয়মিত গান রচনা করেছিলেন রবি ঠাকুর। ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’- রবীন্দ্রনাথ নিজে তাঁর গানগুলিকে ৬ পর্যায়ে বিভক্ত। ৬ পর্যায়ের কিছু গান দেখে নেওয়া যাক।

পূজা পর্যায়ের গান

১. আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে

২. আজ জ্যোত্‍‌স্নারাতে সবাই গেছে

৩. বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

স্বদেশ পর্যায়ের গান

১. আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি

২. ও আমার দেশের মাটি

৩. বাংলার মাটি, বাংলার জল

প্রেম পর্যায়ের গান

১. অবেলায় যদি এসেছ আমার বনে দিনের বিদায়ক্ষণে

২. কতবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া, তোমার চরণে দিব হৃদয় খুলিয়া

৩. প্রাণ চায় চক্ষু না চায়, মরি একি তোর দুস্তরলজ্জা

প্রকৃতি পর্যায়ের গান

১. আজ খেলা ভাঙার খেলা খেলবি আয়

২. একি আকুলতা ভুবনে একি চঞ্চলতা পবনে

৩. এসো শ্যামল সুন্দর

বিচিত্র পর্যায়ের গান

১. তোমার আছে ডাঙা, আমার আছে জল, তোমার বসে থাকা, আমার চলাচল

২. নয়নসমুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই-- আজি তাই, শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল

আনুষ্ঠানিক পর্যায়ের গান

১. জয় তব হোক জয়, স্বদেশের গলে দাও তুমি তুলে যশোমালা অক্ষয়

২. বিশ্ববিদ্যাতীর্থপ্রাঙ্গন কর’ মহোজ্জ্বল আজ হে

৩. জগতের পুরোহিত তুমি— তোমার এ জগৎ-মাঝারে, এক চায় একেরে পাইতে, দুই চায় এক হইবারে