সোমবার দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালিত হচ্ছে রঙের উৎসব হোলি। এদিকে পাঞ্জাবে হোলি উৎসব উপলক্ষে শুরু হয়ে গিয়েছে 'হোলা মহল্লা উৎসব'। তিন দিনব্যাপী এই শিখ উৎসবটি পালন করা হয় হিন্দুদের উৎসব হোলির সঙ্গেই। এই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে, অস্ত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে, শত শত শিখ পরিবেশন করে গাটকা মার্শাল আর্ট। এই উৎসবটি পর্যটকদের খুব আকর্ষণ করে। 'হোলা মহল্লা উৎসব' উপলক্ষে পাঞ্জাবের আনন্দপুর সাহেবের গুরুদ্বার কেশগড় সাহেবে প্রার্থনার জন্য ভিড় জমেছে ভক্তদের।
চণ্ডীগড় থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে আনন্দপুর সাহেবের শহর এবং তীর্থস্থান। এখানেই ১৬৯৯ সালে পাঁচজনকে বাপ্তিস্ম দিয়েছিলেন গুরু গোবিন্দ সিং জি এবং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন খালসা পন্থ, যাকে বলা হয় আধুনিক শিখ ধর্ম। হোলা মহল্লা উৎসব পালন করার জন্য গুরু গোবিন্দ সিং জির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি সম্প্রদায় তৈরি করা যারা যুদ্ধ করতে যতটা পারদর্শী হবে ততটাই স্ব-শৃঙ্খলা এবং আধ্যাত্মিকতাতেও দক্ষ হবে। এই উৎসবের উদ্দেশ্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে সকলের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়িয়ে তোলা এবং সকলের মধ্যে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া। শিখ সম্প্রদায়ের জন্য, হোলা মহল্লা উৎসব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে পাঞ্জাবের গভর্নর হোলির জন্য সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, “হোলির উৎসব হল বসন্তের আগমন, মন্দের ওপর ভালোর জয়ের প্রতীক হল এই দিন।" রঙের এই উৎসব উপলক্ষে পাঞ্জাব এবং চণ্ডীগড়ের মানুষের জীবনে সুখ, আনন্দের জন্য প্রার্থনা করেছেন তিনি।