হোলি রঙের ও আনন্দের উৎসব। লোকেরা সমস্ত ঝগড়া, হিংসা ভুলে একে অপরের গায়ে রং লাগিয়ে হোলির শুভেচ্ছা জানায়। সকলেই আনন্দের সঙ্গে নাচ গান করে এই দিনটি পালন করে। মথুরা-বৃন্দাবনে রঙের সঙ্গে ফুল এবং লাড্ডু দিয়েও খেলা হয় হোলি। এছাড়া বারাণসীতে প্রথা রয়েছে চিতার ছাই দিয়ে হোলি খেলার, এই হোলি ‘মাসানে কি হোলি’ নামে পরিচিত। এটি একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের হোলি। ২০২৪ সালে চিতার ছাইয়ের হোলি খেলা হচ্ছে আজ তথা ২১ মার্চ। এটি এমন একটি ভিন্ন ধরনের হোলি খেলা যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন। এই হোলি খেলা হয় বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে।
কথিত আছে, রঙ্গভারী একাদশীর দিন শঙ্কর মহাদেব মা পার্বতীর গৌণ পুজো করে তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলেন কাশিতে। তখন তিনি সবার সঙ্গে হোলি খেললেও ভূত-প্রেত, পিশাচ, এদের সঙ্গে রঙের হোলি খেলতে পারেননি বলে রঙ্গভারী একাদশীর একদিন পরে শ্মশানে গিয়ে মাসান হোলি খেলেন। সেই সময় থেকেই ভস্ম দিয়ে হোলি খেলার প্রথা শুরু হয়।
মাসান হোলি পালিত হয় বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে, যা বর্তমান যুগের একটি বিখ্যাত শ্মশান। এদিন সকাল থেকেই বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে ভিড় জমতে থাকে। সাধু ও শিব ভক্তরা এদিন সকাল থেকেই শিবের পুজো এবং যজ্ঞ করে। এছাড়া ভজন, কীর্তন ও নাচ করতে দেখা যায় সকলকে। তারপর খেলা হয় চিতার ছাই দিয়ে হোলি। মৃত্যুকে দুঃখের পরিবর্তে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে দেখার জন্য খেলা হয় মাসান হোলি। ভারতের বেশিরভাগ শহর থেকে বারাণসীতে যাওয়ার ট্রেন ও ফ্লাইটের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই সকলের জীবনে একবার হলেও এই হোলির অভিজ্ঞতা করা উচিত।