হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে বলে সংকষ্টী চতুর্থী এবং শুক্লপক্ষের চতুর্থীকে বলে বিনায়ক চতুর্থী। বছরে মোট ১২টি সংকষ্টী চতুর্থী উপবাস হয়, যার মধ্যে একটি হল কৃষ্ণ পিঙ্গলা চতুর্থী। এই দিনে পুজো করা হয় গণপতি বাপ্পার একটি বিশেষ রূপের। ২০২৪ সালে কৃষ্ণ পিঙ্গল সংকষ্টী চতুর্থী উপবাস ও পুজো সম্পন্ন হবে ২৫ জুন। প্রতি মাসের গণেশ সংকষ্টীতে পুজো করা হয় গণপতি বাপ্পার ভিন্ন ভিন্ন রূপের। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই দিনে গণেশকে পরম দেবতা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন ভগবান শিব। কৃষ্ণ পিঙ্গলা সংকষ্টী চতুর্থী উপবাস পালন করলে মানুষের জীবনের প্রতিটি সমস্যার সমাধান হয়, জীবন পাপ মুক্ত হয় এবং ভক্তদের স্বাস্থ্য ও আয়ের উন্নতি হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কৃষ্ণ পিঙ্গল সংকষ্টী উপবাসের। মান্যতা রয়েছে যে এই দিনে ভগবান গণেশের উপবাস ও নিয়ম মেনে পুজো করলে কুণ্ডলীর অশুভ দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ইতিবাচকতা প্রভাব পড়ে। ২০২৪ সালে কৃষ্ণ পিঙ্গল সংকষ্টী চতুর্থী শুরু হবে ২৫ জুন, মঙ্গলবার রাত ০১:২৩ মিনিটে এবং শেষ হবে ২৬ জুন, বুধবার সকাল ১১:১০ মিনিটে। উদয় তিথি অনুসারে, ২৫ জুন পালন করা হবে কৃষ্ণ পিঙ্গল সংকষ্টী চতুর্থী। পুজোর শুভ সময় রয়েছে সকাল ০৫:৩০ মিনিট থেকে সকাল ০৭:০৮ মিনিট পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ০৫:৩৬ মিনিট থেকে রাত ০৮:৩৬ মিনিট পর্যন্ত।

কৃষ্ণ পিঙ্গল সংকষ্টী চতুর্থীর ব্রহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরে প্রথমে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করতে হয়। এরপর উপবাস এবং গণপতি বাপ্পার পুজো করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে মন্দিরে ভগবান শ্রী গণেশের সামনে ধূপ ও প্রদীপ জ্বালানো হয়। গণপতি বাপ্পাকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে নিবেদন করতে হয় ২১ টি দূর্বা। এরপর মন্ত্রপাঠ করে ভগবান গণেশকে রোলি, সিঁদুর, পবিত্র সুতো, সুপারি, মোদক এবং ফল নিবেদন করতে হয়। সবশেষে ভগবান গণেশের আরতি করে পুজো সম্পূর্ণ করা হয়। সারাদিন উপবাস করার পর সন্ধ্যায় শুভ সময় অনুসারে গণপতি বাপ্পার পুজো করা হয়। রাতে চাঁদ উঠলে চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করে এবং আরতি করে ভঙ্গ করা হয় উপবাস।