ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের দেবী মা লক্ষ্মীর (Maa Laxmi) আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রতিটি পরিবার। গৃহস্থ ছাড়াও যে সব মণ্ডপে দুর্গাপুজো হয়, সেখানেও লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে। ‘কোজাগরী’ (Kojagari) কথাটির অর্থ ‘কে জেগে আছ?’ হিন্দু পুরাণ মতে, আশ্বিনের এই পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী এসে ঘরে ঘরে খোঁজ নিয়ে যান, কে জেগে আছে। এই রাতে যে ব্যক্তি জেগে অক্ষক্রীড়া করে তাঁর ঘরেই প্রবেশ করেন দেবী লক্ষ্মী।
লক্ষ্মীপুজো ভর সন্ধ্যাবেলার পুজো। ৩০ ও ৩১ অক্টোবর আগামিকাল ও পরশু দু’দিনই সন্ধ্যায় পূর্ণিমা তিথি থাকায় দু'দিনই লক্ষ্মীপুজো করা সম্ভব। কোন সময়ে শুরু হবে পুজো? পুজোর তিথিই বা শেষ কখন? লক্ষ্মী পুজোর তিথি জানুন বিস্তারিত-
গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে-
পূর্ণিমার নিশিপালন ও শ্রী শ্রী কোজাগরী লক্ষ্মীপুজা ১৩ কার্তিক অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার।
পূর্ণিমা তিথি আরম্ভ হওয়ার সময়-
১৩ কার্তিক শুক্রবার ১৪২৭; ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী, ৩০ অক্টোবর, শুক্রবার, ২০২০।
সন্ধ্যা ৫টা ১৯ মিনিট ২৪ সেকেন্ড পূর্ণিমা লাগবে।
পূর্ণিমা তিথি শেষ-
১৪ কার্তিক, শনিবার ১৪২৭, ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবর, শনিবার ২০২০। তিথির সময় শেষ হচ্ছে রাত্রি ৭টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত।
বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দুর ঘরে এ এক চিরন্তন প্রার্থনা। অনেকেই সারা বছর প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করে থাকেন। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। উল্লেখ্য, খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালি মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়। তবে পুজোর উপাচার পরিবর্তন হয় মাস ভেদে। কলাবউ, লক্ষ্মীর সরা, লক্ষ্মীর মূর্তি এদিন পুজো করা হয়।