বিশ্বের প্রত্যেক অবাঙালি হিন্দুদের কাছে করওয়া চৌথ (karwa chauth 2024) এমন একটি উৎসব, যা বহু যুগ ধরে চলে আসছে।করবা’ শব্দের অর্থ কড়াই এবং ‘চৌথ’ মানে চতুর্থী তিথি। এই দুয়ে মিলে ব্রতের নামকরণ। এই ব্রতে কড়াইয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা ব্রত রাখেন, তাঁরা নতুন কড়াই কেনেন। সেখানে রাখেন নতুন কাপড়, কাচের চুড়ি এবং বাড়িতে তৈরি মুখরোচক খাবার ও মিষ্টি। একে অন্যের সঙ্গে সেই কড়াই আদানপ্রদানও করেন তাঁরা।কৃষি সভ্যতার সঙ্গেও এই ব্রত জড়িয়ে। এই সময়েই রবি শস্যের চাষ শুরু হয়। বপন করা হয় গমের দানা। যে বড় পাত্রে গমের দানা রাখা হয়, তাকেও ‘করবা’ বলা হয়।মূলত, স্বামীর মঙ্গল কামনায় এদিন স্ত্রীরা নির্জলা উপবাস করে এই করবা চৌথের ব্রত পালন করেন। এক্ষেত্রে চাঁদ ওঠার সময়টি গুরুত্বপূর্ণ।করবা চৌথ ব্রতে চন্দ্রোদয়ের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নবরাত্রি শেষ হওয়ার পর থেকেই পাঁজি দেখা শুরু হয়। মেলানো হয় দিনক্ষণ, শুভ মুহূর্ত। এর সঙ্গে দেখা হয় কখন চাঁদ উঠবে তাও। সেই মতো শুরু হয় নির্জলা উপবাস।স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করেই করবা চৌথে নির্জলা উপবাস রাখেন বিবাহিত মহিলারা। তারপর ১৬ শৃঙ্গারে সেজে চন্দ্রদেবের বিশেষ পুজো করেন। সঙ্গে ভগবান ভোলেনাথ, মাতা গৌরী এবং কার্তিক ও গণেশের পূজা করে নিজের মনস্কামনা জানান। শেষে চালুনি দিয়ে স্বামীর মুখ দেখে জল পান করে উপবাস ভঙ্গ করেন।
আজকের এই বিশেষ দিনে রইল করবা চৌথের শুভেচ্ছা বার্তা সহ সচিত্র পত্র-