আজ (১২ নভেম্বর, ২০২৩, রবিবার) কালীপুজো। শাক্ত মতে, কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। 'ব্রহ্মযামল' তন্ত্রগ্রন্থে দেবী কালীকে বঙ্গদেশের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। 'হরিবংশ' গ্রন্থে কালী নামে এক দানবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। 'তোড়লতন্ত্র' অনুসারে, কালী আট প্রকার। অভিনব গুপ্তের 'তন্ত্রালোক' ও 'তন্ত্রসার' গ্রন্থ দুটিতে কালীর ১৩টি রূপের উল্লেখ আছে। 'জয়দ্রথ যামল' গ্রন্থে কালীর ১০টি রূপের উল্লেখ মেলে। ১৭৭৭ সালে কাশীনাথ রচিত 'শ্যামাসপর্যাবিধি' গ্রন্থে সর্বপ্রথম এই পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথির এই কালী পুজো দীপান্বিতা কালী (Dwipanwita Kali) নামেই পরিচিত।

কালী’শব্দটি ‘কাল’শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ। এই শব্দের অর্থ ‘কৃষ্ণ’বা ‘ঘোর বর্ণ'। হিন্দু মহাকাব্য মহাভারত-এ যে ভদ্রকালীর উল্লেখ আছে, তা দেবী দুর্গারই একটি রূপ। মহাভারতে ‘কালরাত্রি’ বা ‘কালী’নামে আরও এক দেবীর উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘কাল’শব্দের দুটি অর্থ রয়েছে। এক‘নির্ধারিত সময়’এবং অন্যটি ‘মৃত্যু'। কিন্তু দেবী প্রসঙ্গে এই শব্দের মানে "সময়ের থেকে উচ্চতর।" সমোচ্চারিত শব্দ ‘কালো’র সঙ্গে-এর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে সংস্কৃত সাহিত্যের বিশিষ্ট গবেষক টমাস কবার্নের মতে, ‘কালী’ শব্দটি ‘কৃষ্ণবর্ণ’ বোঝানোর জন্যও ব্যবহৃত হতে পারে। প্রকৃত অর্থে কাল (সময়)-কে যিনি রচনা করেন তিনিই (কাল+ঈ) কালী।

কালী পুজোর সকালেই 'লেটেস্টলি বাংলা' আপনাদের জন্য সাজিয়ে এনেছে শুভেচ্ছাপত্র (Wish-Card)। আপনার পরিবার ও বন্ধুদের পাঠিয়ে দিন এই সব শুভেচ্ছা বার্তাগুলি।