দুর্গা পুজোর পরই শুরু হয় কালী পুজোর তোড়জোড়। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে পূজিত হন মা কালী । শ্যাম বর্ণের হওয়ায় একে শ্যামা পুজোও বলা হয়ে থাকে। শক্তির সাধনাতেই মোক্ষ ও মুক্তি। শাক্তমতে বাঙালিরা এই দিন কালীপুজো করে থাকেন আবার উত্তর ভারতে কালী পুজোর দিনে লক্ষ্মী-গণেশ পুজো করা হয়ে থাকে। আজকাল পশ্চিমবঙ্গের বহু ঘরেও  এই তিথিতে দীপান্বিতা লক্ষ্মী পুজো করা হয়।ঘরে ও মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত কালীমূর্তির নিত্যপুজো হয়ে থাকলেও এই দিনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আলোকসজ্জা ও আতসবাজির রোশনাইয়ে সারা দিক যেন আলোকময় হয়ে ওঠে সেদিন। নিকষ কালো আকাশের নীচে উজ্জ্বল একখণ্ড ভূখণ্ড।

চলতি বছর কালী পুজোর তারিখ ও সময় জেনে নিন এখানে।

এ বছর কালী পুজো কবে? 

এ বারের কালীপুজো পড়েছে ২৪ অক্টোবর, সোমবার। ২৪ অক্টোবরের সন্ধ্যে ৪ টে ৫৭ মিনিট থেকে ২৫ অক্টোবর ৪টে ২৬ মিনিট পর্যন্ত অমাবস্যা তিথি থাকবে। কালীপুজোর অমৃত যোগ পড়েছে সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে, রাত্রি ৩টে ১৬ মিনিট পর্যন্ত থাকবে।

কালী পুজোয় যে সাবধানতা অবলম্বন করবেন

কালীর পুজো দুধরনের হয় সাধারণ পুজো ও তন্ত্র পুজো। যে কোনও ব্যক্তি সাধারণ পদ্ধতিতে পুজো করতে পারে। কিন্তু গুরুর তত্বাবধান ছাড়া তন্ত্র পুজো করা যায় না। মাঝরাতে কালীর পুজো করা হয়। কালীর পুজোয় লাল ও কালো বস্তুর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। শত্রু ও বিরোধীদের শান্ত করার জন্য কালীর পুজো করা হয়ে থাকে।

কালী পুজোর মাহাত্ম্য

শক্তি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেবী কালী। সংহারের অধিপতি শিব এবং সংহারের অধিষ্ঠাত্রী হলেন কালী। শুম্ভ-নিশুম্ভের বধের সময় তাঁর শরীর থেকে একটি রশ্মিপুঞ্জ নির্গত হয়, এর ফলে তাঁর রঙ কালো হয়ে যায়। তাই তাঁর নাম হয় কালী।কালীর পুজো করলে ভয় দূর হয়, আরোগ্য লাভ করা যায়। এর পাশাপাশি ব্যক্তি আত্মরক্ষা করতে পারে ও শত্রুদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। কালীর উপাসনা করলে তন্ত্র-মন্ত্রের প্রভাব সমাপ্ত হয়। কালীর পুজো রাতেরবেলায় করা হয়। রাহু, কেতু ও শনির শান্তির জন্য কালী পুজোকে বিশেষ কার্যকরী মনে করা হয়।