কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত পালিত হয় জগদ্ধাত্রী পূজা।আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja) অষ্টমী। আগামীকাল নবমী ( ২ নভেম্বর,২০২২) সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পুজো হয় এই দিনই। চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরে এখন সাজো সাজো রব। দুর্গাপুজোর মতোই চার দিন ধরে চলে এই পুজো।জগদ্ধাত্রীও নয়, দুর্গাও নয়, দুইয়ে মিলে দেবীর প্রকাশ। এই দেবী জগদ্ধাত্রী সিংহের পিঠে আসীন, নানা অলঙ্কারে ভূষিতা ও নাগরূপ যজ্ঞোপবীতধারিণী। দেবীর দুই বাম হাতে শঙ্খ ও শার্ঙ্গধনু এবং দুই ডান হাতে চক্র ও পঞ্চবাণ।
কোনও কোনও পুরাণ বলছে, মহিষাসুর বধের পর অত্যধিক উল্লসিত হয়ে ওঠেন দেবতারা। তাঁরা ভেবেছিলেন, দুর্গা যেহেতু তাঁদেরই সম্মিলিত শক্তির প্রকাশ, তাই অসুর বধ হয়েছে তাঁদেরই যুগ্ম শক্তিতে, ব্রহ্মার বরের সম্মানরক্ষা করতে কেবল ওই নারীদেহটির আবশ্যিকতা। তাঁদের ওই গর্ব দেখে পরমেশ্বরী দেবী দেবতাদের শক্তি পরীক্ষা করতে একটি তৃণখণ্ড আড়াল থেকে ছুড়ে দেন। ইন্দ্র বজ্র দিয়ে সেই তৃণটি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হন, অগ্নি সেই তৃণ দহন করতে পারলেন না, বায়ু ব্যর্থ হলেন তা উড়িয়ে নিয়ে যেতে, বরুণের শক্তি সেই তৃণকে জলস্রোতে প্লাবিত করতে পারল না। দেবতাদের এই দুরবস্থা দেখে তখন তাঁদের সামনে আবির্ভূতা হন পরমাসুন্দরী সালঙ্কারা চতুর্ভূজা জগদ্ধাত্রী। এভাবে তিনি দেবতাদের বুঝিয়ে দিলেন যে তিনিই এই জগতের ধারিণী শক্তি।