যোগ ব্যায়ামের ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত। যোগ ব্যায়ামকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি যোগের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রচার করেছে ভারত। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ ব্যায়াম উপকারী। শরীরকে রোগমুক্ত রাখার সঙ্গে মানসিক শান্তি প্রদান করে যোগ ব্যায়াম। ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কিত যোগ ব্যায়ামের গুরুত্ব ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশেও। প্রতি বছর ২১ জুন সারা বিশ্বে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য হল যোগ ব্যায়ামের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বক্তৃতায় প্রথমবার আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করার প্রস্তাব রেখেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বছরের ১১ ডিসেম্বর এই প্রস্তাবটি অনুমোদন করার পাশাপাশি ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ১৭৭টি দেশ সমর্থন দিয়েছিল এই প্রস্তাবে। ২০১৫ সালের ২১ জুন প্রথমবার পালন করা হয় যোগ দিবস। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগ ব্যায়াম করে পালন করেছিলেন এই দিনটি। ভারতে, নয়াদিল্লির রাজপথে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিল ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।

যোগ হল একটি প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্য, যা বর্তমানে বিশ্ব সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। যোগের মাধ্যমে, দেশ-বিদেশের যোগীরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রচার করে। যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে উন্নত হয় শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য। যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে রোগ মুক্ত থাকে শরীর। নিয়মিত যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা সম্ভব। যোগ ব্যায়াম একটি স্বাস্থ্যকর এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারা। ধ্যান এবং যোগ ব্যায়াম মানসিক শান্তি প্রদান করে।