Kali Puja: কালীপুজো মানেই মাটির প্রদীপ। সর্ষের তেলে সলতে পাকিয়ে সারি সারি মাটির প্রদীপে ভরে ওঠে গৃহস্থের অঙ্গন, তারপর সুয্যিমামা একবার বাই বাই বললেই লক্ষ্মীমন্ত বউটির হাতে ছোঁয়ায় ঝলমলিয়ে ওঠে গোটা বাড়ি। পল্লি বাংলার এই ছবি আজ বিরল না হলেও সংখ্যায় তো কমেইছে। এবার তো মহামারী চলছে, করোনাকালে বাইরে বেরিয়ে কালীপুজোর উদযাপন না করাই শ্রেয়। কেননা সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে আনন্দ করাটাই দুস্কর। তাই বাড়িতে থেকেই নিজেকে আলোকিত রাখুন। আলয় সাজান আলোর মালায়। সেই আলোতে দূর হোক করোনার মতো ভয়াল অন্ধকার। এখন তো প্লাস্টিকের প্রদীপ, টুনির রোশনাই, চিনা আলোয় বাজার ছেয়েছে। এখন আর মাটির প্রদীপ কজনই বা কেনেন। তবে মোদ্দাকথা হল, অন্ধকার কাটিয়ে আলোকে বরণ বাঙালির ঘরে ঘরে কালীপুজোয় সেই বরণ বেশ জমকালোই হয়।
এখনকার দিনে লাইফস্টাইল একটা বড় জায়গা নেয়। তাই পুজো উপলক্ষে হোম ডেকোরেশনেও আসে অদলবদল। কেউ বাড়ি রঙ করান, কেউ বা আবার বসার ঘরের ডেকোরেশনটাই বদলে দেন। সবার পক্ষে বাড়ির বহিরঙ্গ সাজিয়ে তোলা সম্ভব হয় না, অন্তত যাঁরা ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তাঁরা এক চিলতে ব্যালকনিতে যে শৌখীন গাছ রেখেছেন, তার গায়ে বর্ণময় আলোর মালা সাজিয়ে দেন। রঙিন মোমবাতি রাখেন কাচের সেন্টার টেবিলে। রেলিংয়ের ধার ঘেঁষে থাকা কর্ণার ব়্যাকের উপরে একটা মাটির পাত্র তাতে ভর্তি জল, পাত্রের ধার বরাবর প্রদীপ জ্বলছে। আর জলে ভাসছে তাজা শিউলি। আহা এ এক অন্য অনুভূতি। হল ঘরের ভিতরের আসবাব কমিয়ে ফেলে মাঝখানটা ফাঁকা করে দিন। ফুল দিয়ে সুন্দর আলপনা আঁকুন, গাঁদা ফুল হলে জমবে ভালো। পাপড়ি ছিঁড়ে আলপনা ভরাট করে দিন। তারপর পছন্দমতো জায়গায় বসিয়ে দিন দিয়া। কালীপুজো উপলক্ষে এবছর বাড়িতে অতিথি না এলেও পরিবারের সবাই মিলে এই সৌন্দর্য উপভোগ
বড় বাড়ি হলে, রংবেরঙের টুনি লাইটে সাজিয়ে ফেলুন বাড়ি। বারান্দার গ্রিল বরাবর সার বেঁধে জ্বলতে তাকুক মোমবাতী। বাড়ির প্রবেশ দ্বারের দুপাশে থাকুক দিয়া। আর যেখানে আড্ডা জমবে সেখানে তো ডিস্কো লাইট মাস্ট। এবার আর বাইরে বেরিয়ে কালীপুজো দেখা, আলোর রোশনাই উপভোগের সুযোগ নেই। তাই বাড়িতেই হোক আড্ডা। আলোয় আলোয় দূর হোক মহামারীর অন্ধকার ছায়া।