Chhath Puja 2024: মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ছট পুজো। চার দিনব্যাপী চলে হিন্দুদের এই উৎসব। ছট পুজোয় কোন প্রতিমা কিংবা মূর্তি পূজিত হয় না। সূর্য দেবতা এবং ছঠি মাইয়া (মা ষষ্ঠী), যিনি সূর্যের বোন হিসাবে বিবেচিত হন, ভুক্তি ভরে তাঁদের আরাধনা করা হয় এই পুজোয়। ছট উৎসবকে অন্যতম কঠিন এবং ঐতিহ্যশালী পুজো বলে মনে করা হয়। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করে ছট পুজো সম্পন্ন করা হয়।
টানা চারদিন ধরে চলে ছট পুজোর বিভিন্ন আছাড় অনুষ্ঠান। কিন্তু কেন পালিত হয় এই কঠিন পুজো? কথিত আছে, ছট পুজোর মধ্যে দিয়ে পরিবারে মঙ্গল, সুখ, সমৃদ্ধির জন্যে সূর্য দেবতা এবং ছটি মাইয়াকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। এছাড়াও মহিলারা গর্ভধারন, সন্তানের স্বাস্থ্য, সাফল্য, পরিবারের মঙ্গল, স্বামী-সন্তানের দীর্ঘায়ু কামনা করে কঠিন উপবাস পালন করে ছট পুজো করে থাকেন। তবে শুধু মহিলারাই নন, নারী-পুরুষ প্রত্যেকেই উপবাস রেখে ছট পুজো করতে পারেন।
কবে পালিত হয় ছট পুজো? কার্তিক মাসে দীপাবলির ঠিক ছয়দিন পর ছট পুজো উদযাপিত হয়।
চার দিনের ছট পুজোর বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানঃ
নাহয় খায়ঃ ছট পুজোর প্রথম দিনকে নাহয় খায় বলা হয়। এদিন পবিত্র নদী কিংবা পুকুরে স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করতে হয়। খাবার গ্রহণের আগে সূর্যদেবকে ভোগ নিবেদন করা হয়।
খরনাঃ দ্বিতীয় দিনে উপবাসের মধ্যে দিয়ে খরনা অনুষ্ঠিত হয়। খরনার অর্থ হল শুদ্ধিকরণ। সারাদিন ধরে উপবাসের পর সন্ধ্যের সময়ে খাবার খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করা যায়।
সন্ধ্যা অর্ঘ্যঃ তৃতীয় দিনে সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে পুজো করা হয়। এই দিনেই পালিত হয় ছটপুজোর প্রধান অনুষ্ঠান। এই দিনেও উপবাস রাখা হয়। সন্ধায় বা সূর্যাস্তের পর সূর্যদেবকে পুজো করে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এরপর উপবাস ভেঙা হয়।
উষা অর্ঘ্যঃ ছট পুজোর চতুর্থ দিন উপবাসের শেষ দিন। এদিন সকলেই ছঠি মাইয়া ও সূর্যদেবের কাছে সন্তানসুখ ও পরিবারের সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রার্থনা করে থাকেন ভক্তরা। সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের দিকে মুখ করে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। তারপর উপবাস ভঙ্গ করা যায়।
প্রথম দুই দিনে ছট পুজোর প্রস্তুতি এবং শুদ্ধিকরণ করা হয়। শেষ দুদিনে সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে ছট উৎসব শেষ হবে। এই চার দিনে পবিত্রতা খুব নিবিড়ভাবে বজায় রাখতে হয়।