গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকে বিশেষ ভাবে নির্ধারণ করে ‘গুরুপূর্ণিমা' উদযাপন করার প্রথা চলে আসছে। শুধু ভারত নয়, নেপাল ভূটানেও গুরু পূর্ণিমা পালন করতে দেখা যায়। গুরুপূর্ণিমা একটি বৈদিক প্রথা। এই দিনে শিষ্য তার গুরুকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন।
হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, মহর্ষি বেদ ব্যাস আষাঢ় মাসের পূর্ণিমায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই একে ব্যাস পূর্ণিমাও বলা হয়। শাস্ত্রমতে বেদব্যাসকে হিন্দু ধর্মে বিশ্বের গুরু হিসেবে দেখা হত।তিনি মহাভারতের রচয়িতাও। কথিত রয়েছে নিজের পাঁচ শিষ্যকে নিয়ে গুরু শিষ্যের সম্পর্ক অটুট রাখতে গুরু পূর্ণিমার প্রচলন করেছিলেন ব্যাসদেব। এই গুরুপূর্ণিমার গুরুত্ব রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মেও। উত্তরপ্রদেশের সারনাথে গৌতম বুদ্ধর প্রথম ৫ শিষ্যকে বৌদ্ধধর্মের উপদেশ দেওয়ার পরম্পরাকে সঙ্গে নিয়েই গুরু পূর্ণিমা পালিত হয়। এই দিনে গুরু ও শিষ্যের সম্পর্ককে উদযাপিত করা হয় বলে জানা যায় সেই ধর্মে।
আমাদের জীবন ও চরিত্র গঠনে গুরু বা শিক্ষক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। জীবনের নানান কঠিন সময় শিক্ষক আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করেন। গুরুর প্রতি সম্মান ব্যক্ত করার জন্য গুরু পূর্ণিমার দিনটি অত্যন্ত বিশেষ। তাই তাদের জন্য রইল আমাদের প্রণাম ও শ্রদ্ধার্ঘ্য।