গৃহ নির্মাণ, গৃহসজ্জা এবং গৃহ উপাসনা ইত্যাদি থেকে শুরু করে মন্দির ও দেব-দেবীর অবস্থান ও পুজো পর্যন্ত প্রযোজ্য বাস্তুর নিয়ম। ২০২৪ সালের ০৭ জুলাই শুরু হবে গণেশ উৎসব। এই দিন বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হবে গণপতি বাপ্পাকে। তবে সম্পূর্ণতা এবং শুভর জন্য বাস্তুর নিয়ম অনুসারে করা উচিত মূর্তি প্রতিষ্ঠা, পুজো এবং বিসর্জন। চলুন জেনে নেওয়া যাক গণেশের মূর্তি প্রতিষ্ঠা, পুজো এবং বিসর্জন সম্পর্কিত বাস্তুর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম।

ভগবান গণেশ স্থাপন, স্থান নির্বাচন সর্বদা বাড়ির পূর্ব বা উত্তর দিকে করা উচিত। বাস্তু অনুসারে পূর্ব ও উত্তর দিক ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। পুজোর স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সংগঠিত রাখতে হয়। নেতিবাচক শক্তি দূর করার জন্য পুজোর স্থান পরিষ্কার করা গুরুত্বপূর্ণ। একটি লাল বা হলুদ আসন বা কাপড় বিছিয়ে তার সামনে একটি স্বস্তিক বা গণেশ মন্ডল তৈরি করে তার উপর স্থাপন করতে হবে বাপ্পাকে। ঘর অনুযায়ী হতে হবে প্রতিমার আকার। ছোট বাড়ির জন্য ছোট মূর্তি এবং বড় বাড়ির জন্য বড় মূর্তি। সকালে সূর্যোদয়ের সময় পুজো করার জন্য শুভ। পুজোর সমগ্রী হিসেবে ব্যবহার করতে হবে দূর্বা, লাল ফুল, অক্ষত, মিষ্টি এবং পঞ্চামৃত অর্থাৎ দুধ, দই, ঘি, মধু এবং চিনি।

ভগবান গণেশের মন্ত্র জপ করে ভগবান গণেশের আরতি ও ভজন করা হয়। এটি পুজোকে পূর্ণতা প্রদান করে এবং পরিবেশকে ভক্তিপূর্ণ করে তোলে। ভগবান গণেশ বিসর্জনের প্রক্রিয়াটিও সাবধানে করা উচিত। সকালের সময়ে বিসর্জন করা সবচেয়ে ভালো। বিসর্জনের সময় ভগবান গণেশের মূর্তিটি পূর্ব বা উত্তর দিকে রেখে পুজো করে বিসর্জন করতে হবে। বিসর্জনের সময়, প্রতিমাকে সম্মানের সঙ্গে জলে ডুবিয়ে দিতে হবে। এর ফলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি থাকে এবং ভগবান গণেশের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। প্রতিমা বিসর্জনের পর প্রতিমা স্থাপনের স্থানটি পরিষ্কার করে সারা রাত সেই স্থানে একটি প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে হবে।