গণেশ পুজোতে ভোগ নিবেদন পুজোরই এক বিশেষ অংশ। ভগবান গণেশ হলেন ভক্তের মঙ্গল, জ্ঞান, সমৃদ্ধি ও বাধা-নাশক দেবতা। কথিত, গণেশ মিষ্টিপ্রিয়, বিশেষত মোদক ভীষণ পছন্দ করেন। বিশ্বাস, আন্তরিক ভক্তিভরে সঠিক ভোগ নিবেদন করলে খুশি হন সিদ্ধিদাতা গণেশ। পূর্ণ হয় মনবাঞ্ছা। গণেশ পুজোয় কোন কোন ভোগ নিবেদন করলে মনোবাসনা সিদ্ধ হয়?
গণেশ পূজার ভোগে বিভিন্ন ধরনের খাবার দেওয়া হয়। এর মধ্যে কিছু খাবার গণেশের অত্যন্ত প্রিয় বলে মনে করা হয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:
মোদক (Modak)- মোদক গণেশের সবচেয়ে প্রিয় খাবার। এটি চালের গুঁড়ো বা ময়দা দিয়ে তৈরি এক ধরনের মিষ্টি পিঠা, যার ভেতরে নারকেল, গুড় বা শুকনো ফল দিয়ে পুর ভরা হয়। মোদক দুই ধরনের হয় - ভাপানো এবং ভাজা। গণেশ পূজায় মোদক দেওয়া আবশ্যক।
লাড্ডু (Laddoo)-মোদকের পাশাপাশি লাড্ডুও গণেশের খুব প্রিয়। বেসনের লাড্ডু, মতিচুরের লাড্ডু এবং নারকেলের লাড্ডু ভোগের জন্য খুব জনপ্রিয়।
নারকেল (Coconut)-নারকেলকে শুভ ফল হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এটি যেকোনো পূজায় ব্যবহার করা হয়। গণেশ পূজার ভোগে আস্ত নারকেল বা নারকেলের তৈরি মিষ্টি দেওয়া হয়।
কলা এবং ফল (Banana and Fruits)-কলা গণেশের অন্যতম প্রিয় ফল। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল যেমন আপেল, বেদানা, পেয়ারা ইত্যাদি ভোগে দেওয়া হয়।
দূর্বা ঘাস এবং ফুল (Durva Grass and Flowers)-যদিও এটি খাবার নয়, তবুও গণেশ পূজায় দূর্বা ঘাস এবং ফুল নিবেদন করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, দূর্বা ঘাস দিয়ে গণেশের পূজা করলে তিনি অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন।
এছাড়াও খিচুড়ি, লুচি, ছোলা, ডাল, এবং মিষ্টি ইত্যাদিও গণেশের ভোগে দেওয়া যেতে পারে। তবে, মোদক এবং লাড্ডু ছাড়া গণেশ পূজা অসম্পূর্ণ।