Photo Credit_Facebook

সারাবছর অপেক্ষার পরে আসে পুজোর ৫ টা দিন। পুজোর আনন্দ চেটেপুটে নিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা, দিন থেকে রাত মণ্ডপে মণ্ডপে হাজির হন আপামর বঙ্গবাসী। নিজের চোখে মণ্ডপ থেকে প্রতিমা দেখে আপ্লুত হন সকলেই। কিন্তু যারা দৃষ্টিহীন , যাদের কাছে আলোর উৎসবও ফিকে হয়ে যায় অন্ধকারে। তাদের কাছে পুজোর সেই আমেজ ছড়িয়ে দিতে কি করা যায় এই ভাবনা থেকেই ৮০ বতম বর্ষে হাজরা পার্ক তাদের থিমের বিষয় ভাবনার সঙ্গেই উপরি পাওনা হিসাবে রেখেছে দৃষ্টিহীন দর্শকদের জন্য ব্রেইল ডিসপ্লে বোর্ড। সেইসব দর্শকরা যাতে স্বেচ্ছা সেবকদের ওপর নির্ভর না হয়ে নিজেরাই উৎসবের অংশ হয়ে উঠতে পারে এবং সেই জাঁকজমক অনুভব ও উপভোগ করতে পারে তাঁর জন্যই এই ব্রেইল ডিসপ্লে বোর্ড। এই ব্রেইল ডিসপ্লে বোর্ডের পৃষ্ঠে স্পর্শ করে তাঁরা সজ্জা এবং প্রতিমা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে সক্ষম হবে।

হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটি ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ প্রফেশনাল (NIP)এর সঙ্গে যৌথ ভাবে ব্রেইল ডিসপ্লে বোর্ডটির স্থাপন করছে তাদের মণ্ডপে। সেই শুভ বার্তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, কৃষিমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, শ্রী সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়, হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, মমতা বিনানি, NIP NGO-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং MSME ডেভেলপমেন্ট ফোরাম WB-এর সভাপতি; শ্রী তপন পট্টনায়ক, সাইনি গ্রুপের সিইও; কলকাতা ওল্ড সিটির রোটারি ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণ ভৌমিক; শ্রী সঞ্জয় মজুমদার, দুর্গোৎসব ফোরাম; শ্রী দেবজ্যোতি রায়, NIP NGO-এর সেক্রেটারি সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

শুধু হাজরা পার্ক নয়  ঠাকুরপুকুরের স্টেট ব্যাঙ্ক পার্ক এবং চিৎপুর এলাকায় ইয়াং বয়েজ ক্লাবও একটি করে ব্রেইল ডিসপ্লে স্ট্যান্ড প্যান্ডেলের একপাশে বিশেষভাবে সক্ষম মানুষদের জন্য বিগত কয়েকবছর ধরে রেখেছে।