বাঙালির তেরো মাসে বারো পার্বন। তবে বাঙালির কাছে সেরা উৎসব দুর্গাপুজো। বিশ্ববাসী আপামর বাঙালি মেতে ওঠে এই উৎসবে। দুর্গাপুজো মানে উৎসব তো বটেই! কারণ এক বছর পর বাপের বাড়িতে ফেরেন উমা। দুর্গা প্রতিমা তৈরি থেকে পুজোর সমস্ত খুঁটিনাটি নিখুঁতভাবে করার চেষ্টার ক্ষেত্রেও বাঙালির জুরি মেলা ভার। করোনা-আবহেই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2020) উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালি, প্রস্তুতি তুঙ্গে। সারাবছর বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে শুধুমাত্র এই দিনটির অপেক্ষায়। বাঙালি আর দুর্গাপুজো, একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ওতোপ্রতোভাবে। ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজো, মহালয়ার পর মলমাস পড়ায় প্রায় ১ মাস পিছিয়ে গেছে এবারের দুর্গাপুজো। বাঙালির মনে বেজে উঠেছে আলোর বেণু।
আজ শুভসপ্তমী। আজকের দিনটির তাৎপর্য এবং প্রেক্ষাপট দেখে নিন একনজরে- কলা গাছের চারাকে গণেশের স্ত্রী হিসেবে কল্পনা করে সাজানো হয়। সপ্তমীর ভোর হতেই কলা বউকে স্নান করিয়ে, লালপাড় সাদা শাড়ি পরিয়ে গণেশ মূর্তির পাশে রাখা হয়। এদিনই দেবী দুর্গার ন'টি রূপে নবপত্রিকা অর্থাৎ ন'ধরণের গাছ একসঙ্গে করা হয়, মহা সপ্তমীর সকালে সামনের কোনও নদীতে গিয়ে নবপত্রিকাকে স্নান করানো হয়। নতুন শাড়ি দিয়ে সাজিয়ে দেবী দুর্গার ডান দিকে নবপত্রিকাকে স্থাপন করা হয়। মহাস্নানের মারফত দুর্গোৎসবের মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। দুর্গা ঠাকুরের সামনে দর্পন (আয়না) রেখে তাতে প্রতিফলিত প্রতিবিম্ব শুদ্ধ জল দিয়ে স্নান করানো হয়।