Laxmi Puja (Photo Credit: Pixabay)

দীপাবলি উৎসব শুরু হয় ধনতেরাস উৎসবের সঙ্গে এবং চলে ভাইফোঁটা পর্যন্ত। ব্রহ্মপুরাণ অনুযায়ী, কার্তিক অমাবস্যার মধ্যরাতে বাড়িতে আসেন দেবী লক্ষ্মী। শাস্ত্র অনুসারে, কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সমুদ্র মন্থন থেকে দেবী লক্ষ্মী আবির্ভূত হন, তাই এই দিনে লক্ষ্মী পুজো করা হয়। দেবী লক্ষ্মীর পাশাপাশি গণেশ, কুবের, সরস্বতী এবং কালিকা পুজো করা হয় দীপাবলিতে। দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য বাড়ির পাশাপাশি দোকান, অফিস এবং কারখানায়ও পুজো করা হয় এই দিনে।

 

২০২৪ সালে বেশিরভাগ মানুষ ৩১ অক্টোবর পালন করবে দীপাবলি। তবে এই দিনে কার্তিক অমাবস্যা শুরু হচ্ছে বিকাল ৩ টার পর, তাই দীপাবলিতে দোকান এবং কারখানায় পুজো করা উচিত ১ নভেম্বর। অফিস, দোকান, কারখানা বা ব্যবসায়িক স্থানে দীপাবলির পুজো করার জন্য বিকেলকে সেরা সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কার্তিক অমাবস্যার শুরু হবে ৩১ অক্টোবর বিকাল ০৩:৫২ মিনিটে এবং শেষ হবে ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ০৬:১৬ মিনিটে। লক্ষ্মী পুজোর শুভ মুহুর্ত থাকবে ১ নভেম্বর সন্ধ্যা ০৫:৩৬ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ০৬:১৬ মিনিট পর্যন্ত।

দীপাবলিতে পুজোর প্রথম মুহুর্ত থাকবে সকাল ১ নভেম্বর ০৬:৩৩ মিনিট থেকে সকাল ১০:৪২ মিনিট পর্যন্ত। পুজোর দ্বিতীয় মুহুর্ত থাকবে ১ নভেম্বর দুপুর ১২:০৪ মিনিট থেকে দুপুর ০১:২৭ মিনিট পর্যন্ত। পুজোর তৃতীয় মুহুর্ত থাকবে ১ নভেম্বর বিকাল ০৪:১৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ০৫:৩৬ মিনিট পর্যন্ত। দেবী লক্ষ্মীর পুজোর জন্য প্রয়োজন লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি বা ছবি, লাল কাপড়, চন্দন, পান, পবিত্র সুতো, কুমকুম, দূর্বা, কর্পূর, সুপারি, অষ্টগন্ধা, অক্ষত, মৌলি, পঞ্চামৃত, হলুদ, নারকেল, গঙ্গাজল, পদ্মগট্টা, তুলা। এছাড়া প্রয়োজন বাতি, লাল সুতার বাতি, বাতাসা, কালি, কালি, ফল, ফুল, কলশ, আমের পাতা, দক্ষিণা, ধূপ, দুটি বড় প্রদীপ, গম।

দীপাবলিতে দেবী লক্ষ্মীর সামনে ঘি ও তেলের প্রদীপ জ্বালানো হয়। ঘিয়ের প্রদীপ বাম হাতের দিকে এবং তেলের প্রদীপ ডান হাতের দিকে রাখতে হয়। দীপাবলির দিন অফিস এবং দোকান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করে ফুল, আলো, রঙ্গোলি দিয়ে সাজানো হয়। এরপর পুজোর স্থানে দেবী লক্ষ্মী ও গণপতির মূর্তি রেখে পুজো করা হয়। অষ্টগন্ধা, ফুল, বাতাসা, মিষ্টি ও ফল নিবেদন করার পর হালখাতার পুজো করা হয়। নতুন খাতায় সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক ও শুভ চিহ্ন তৈরি করে অক্ষত ও ফুল অর্পণ করা হয়। ব্যবসার উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য সম্পদের দেবীর কাছে প্রার্থনা করে আরতি করার পর সবার মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।